ইদানিং খবরের শিরোনামে থাকছে তামিলনাড়ু। হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে
এন আই এর (NIA) একের পর এক জঙ্গি ঠিকানায় হানা ও গ্রেফতার নিয়ে তামিলনাড়ুতে চলছে চাঞ্চল্য।
এই নিয়ে তো তীব্র উত্তেজনা আছেই , আর এরই মধ্যে উত্তেজনার নতুন উপাদান ও তৈরী হয়ে গেলো হিন্দুদের শুয়োর কাটা নিয়ে।
তামিলনাড়ুর মুসলিমরা আবার গো হত্যার পক্ষে সওয়াল করছে। তাদের যুক্তি গরু তারা কাটতেই পারে, এটা তাদের সংস্কৃতির অঙ্গ এবং এতে হিন্দুদের কতটা খারাপ লাগলো ইটা দেখা মুসলিম সমাজের দায় নয়।
কিন্তু অন্যদিকে বলছে কোনোমতেই হিন্দুদের উচিত নয় শুয়োর কাটা কারণ এতে মুসলিমদের সেন্টিমেন্টে আঘাত লাগে।
তামিলনাড়ুতে মুসলিমদের এই অন্যায় আবদারে তপ্ত গোটা রাজ্য। ঘটনার সূত্রপাত অন্য জায়গায়। তামিলনাড়ুর আরাঙগাথানগির(Arangathangi) পুডুকোট্টাই (Pudukottai) তে কাট্টু নায়াককাম (Kattu Nayakkam) সম্প্রদায়ের বহু বছরের রীতি চলে আসছে যে তারা তাদের কুল দেবতা মাদুরাই ভীরানস্বামী(Madurai Veeran Swami) কে পুজো দেবার সময় শুয়োর বলি দেয়। কিন্তু এখন মুসলিমরা এর তীব্র বিরোধিতা করে পুলিশ প্রশাসন অনুরোধ জানিয়েছে যে অবিলম্বে বন্ধ হোক শুয়োর বলি। তবে হিন্দুদের তরফে গরু বা ছাগল কাটা বন্ধের আবেদন করা হলে মুসলিমরা তা তৎক্ষনাৎ তা নাকচ করে দেয় মুসলিমরা এবং জানায় তা করা তাদের ধর্মীয় রীতি ও সংস্কৃতির অঙ্গ।
তামিলনাড়ুর জিহাদি সংগঠন মুহাইদিন আন্ডাবার জামাতের (Muhaideen Andavar Jamat) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে শুয়োর নিধন যে কোনো মুসলিমের ভাবাবেগে আঘাত দেয় , তাই শুয়োর বলি বন্ধ করতেই হবে।
একইসাথে তারা এও জানায় যে মুসলিমদের পক্ষে গো হত্যা বন্ধ করা সম্ভব নয় কারণ তা ইসলামের সংস্কৃতির অঙ্গ আর এতে যদি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাতও লাগে , তাদের কিছু করার নেই। কিন্তু ধর্ম রক্ষায় তৎপর তামিল হিন্দুরাও কম যায় কিসে, উল্টো জেহাদিদের রাজ্য ছাড়া করার হুমকি দিলো এবার।
তবে এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ গোটা তামিল সমাজ। এই মর্মে তারা তামিলনাড়ু সরকার , পুলিশ ও প্রশাসন কে চিঠিও দিয়েছে। অনেকের মনে প্রশ্ন , তামিলনাড়ুতে ৫% মুসলিম জনসংখ্যাতেই এই অবস্থা এই জনসংখ্যা ১০% বা পশ্চিমবঙ্গের মতো ৩০% শতাংশে পৌঁছালে কি হবে কে জানে?