ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্র ও রাজ্য দু’তরফকেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আদালতে এদিন কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে শুনানিতে কেউ হাজির হননি।
কেন্দ্রের তরফে কিছু বলাও হয়নি। তাই এই মামলার শুনানির জন্য ফের দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বীনিত সরন ও বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্র ও রাজ্য দুই পক্ষের তরফেই কিছু জানানো হয়নি। তাই শুনানি আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির অভিযোগ ওঠে। মূলত বিজেপির তরফ থেকেই সেই অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সে সময় অভিজিৎ সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। নিহত অভিজিতের ভাই বিশ্বজিৎ সরকার খুনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্যকে নোটিসও পাঠিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।
এদিকে রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসায় গুন্ডাদের মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল।
মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, এই হিংসায় অন্তত ১৫ জন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মহিলাদের উপরে যৌন নির্যাতন হচ্ছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। তাঁদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি মামলাকারীদের আর্জি ছিল, কেন্দ্রকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হোক। মামলাকারীদের আইনজীবীর অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে গত ১ জুলাই কেন্দ্র, রাজ্য ও হবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নোটিস পাঠায়। আদালতের তরফে মামলার পক্ষে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। সেই মামলারই শুনানি পিছিয়ে গেল আরও ১৪ দিন।