বিশ্বে জনপ্রিয় রাজনীতিক হিসেবে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেলেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে তার অনুগামীর সংখ্যা সাত কোটি ছাড়ালো। বিশ্বে সক্রিয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর টুইটারে অনুগামীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মাত্র একবছরের মধ্যে মোদীর অনুগামীর সংখ্যা ছয় কোটি থেকে ৭ কোটি হয়েছে।
এতদিন এই তালিকায় শীর্ষে ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু গত বছরের শেষে ওয়াশিংটন ক্যাপিটাল হিল কাণ্ডের পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় টুইটার। তারপর থেকেই বিশ্বের সক্রিয় রাজনীতিবিদদের টুইটারে অনুগামীর সংখ্যার বিচারে শীর্ষে চলে এসেছেন মোদী। তবে সক্রিয় নয় শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবে যদি ধরা হয় তাহলে সেই তালিকা এখনো শীর্ষে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার ফলোয়ার বা অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৯৮ লক্ষ।
এখন সক্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সংখ্যার হিসেবে মোদীর পরেই রয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। টুইটারে তার অনুগামীর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৩০ লক্ষ। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টুইটার ফলোয়ার সংখ্যা সম্প্রতি ৩ কোটি ছাড়িয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ফলোয়ার সংখ্যা ৭১ লক্ষের মতো।
অন্যদিকে ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অনুগামীর সংখ্যা যথাক্রমে ২ কোটি ৬৩ লক্ষ। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর অনুগামীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৪ লাখ।
সরকারি নীতি হোক বা দলীয় কর্মসূচি, কারো মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা অথবা করোর সাফল্যের প্রশংসা করা কিংবা উৎসাহ দান হোক বা কোনো বিষয়ে সচেতনতার বার্তা দিতে টুইটারই ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সালের গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন টুইটার ব্যবহার শুরু করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই তার টুইটারের অনুগামীর সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। গত বছর জুলাইতে তার অনুগামীদের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি মতো। মাত্র একবছরের মধ্যে সেটা বেড়ে সাত কোটি ছাড়িয়ে গেল।