জাতীয় শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২০ সালে জাতীয় শিক্ষা নীতির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই শিক্ষা নীতি পুড়ুয়াদের ভবিষ্যতের পথ দেখাবে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী আজ ঘোষণা করেন, দেশের আটটি রাজ্যে ১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ুয়ারা ৫ আঞ্চলিক ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পাবে।
৫টি আঞ্চলিক ভাষার তালিকার মধ্যে রয়েছে বাংলাও অর্থাৎ এবার বাংলাতেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। তার জন্য বিশেষ অনুবাদ “টুল” তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা শুরু হলে দরিদ্র,পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা সবচেয়ে সুবিধা পাবে। কারণ তাদের জীবনে ভাষা বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেশিরভাগ সময়। ফলে আঞ্চলিক ভাষায় যদি কারিগরি শিক্ষা চালু হয় তাহলে তারাও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে।
এছাড়াও “অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট” এর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে যেকোনো পড়ুয়া যেকোনো কোর্স থেকে যেকোনো সময় বেরিয়ে যেতে পারবেন, আবার অন্য কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। আবার যেখানে সে পড়া ছেড়ে এসেছিল ফের সেখানেই ভর্তি হতে পারবে যে কোনও সময়। মোদী বলেন, অনেকেই একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর ভাবেন তিনি বোধহয় ভুল করে ফেলেছেন। এবার থেকে আর তা হবে না। কোর্স চলাকালীন যদি মনে হয় কোর্সটি ঠিক নয় তাহলে সেটি বদলাতে পারবে পড়ুয়ারা। একেই অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট বলা হচ্ছে।
এছাড়াও মোদী প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে প্লে-স্কুলের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এতদিন বড় বড় শহরে শিশুরা প্লে-স্কুলে পড়তে পারতো। কিন্তু “বিদ্যা প্রবেশ” প্রকল্প চালু হলেই এই সুযোগ পৌঁছে যাবে গ্রামে গ্রামে। এতে তিন মাসের একটি স্কুল পূর্ববর্তী কোর্স চালু করা হবে। এই স্কুলে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হবে। গ্রামে গ্রামে “বিদ্যা প্রবেশ” নামের প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হবে। মোদী বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য নিষ্ঠা-২ নামে একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সাংকেতিক ভাষা বা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দেশের বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াদের প্রয়োজন হয়। এখন থেকে এই সাইন ল্যাঙ্গুয়েজকে পৃথক ভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে। এর ফলে বিশেষভাবে সক্ষম বহু পড়ুয়া উপকৃত হবে।