ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্বপ্ন দেখতেন, স্বাধীন ভারতে প্রদান করা হবে উচ্চ গুণমানের শিক্ষা। যা একজন বালক, বালিকাকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর পাশাপাশি মানুষ হওয়ার প্রেরণা যোগাবে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার এত বছর পরেও শিক্ষার বিশেষ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না। আজও ভারত দেশে ইংরেজদের দ্বারা শুরু করে যাওয়া শিক্ষার প্রচলন রয়েছে।
আর এই কারণে দেশ স্বাধীন হলেও পরাধীনতার মানসিকতা এখনও ভারতীয়দের মধ্যে রয়ে গেছে। লক্ষণীয় বিষয়, ভারতে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। ভারতের যে কোনো রাজ্যের দিকে দিকে তৈরি হয়েছে একের পর এক বড়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে নামে বড়ো হলেও কাজে মোটেও বড়ো নয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
যার মূল কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মূল উদেশ্য উচ্চ মানের শিক্ষা প্রদানের জায়গায় হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা উপার্জন। উদাহরণস্বরূপ দেশজুড়ে এখন প্রচুর সংখ্যায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে, যেখনে টাকার পরিবর্তে দেওয়া হয় ডিগ্রি। ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি ফার্মা ও মেডিকেল ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ উঠেছে।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির এই সমস্ত উপদ্রবের উপর চাবুক চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন ভারত সরকার। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষার নামে ভণ্ডামি করা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উপর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই উদ্যেশে এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বহু বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে, যারা শিক্ষা প্রদানের মানদন্ড তৈরি করে প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে পৌঁছে দেবে।
মোদী সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবার থেকে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বেশকিছু নিয়ম লাগু করেছে। বেশকিছু কলেজকে প্রথম বর্ষের এডমিশন নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে পিছিয়ে পড়া এলাকায় শিক্ষার নামে টাকা লুট করা সমস্ত কলেজ বন্ধ করে যারা আদর্শ শিক্ষা প্রদান করবে সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে শাখা খোলার অনুমতি দেওয়া হবে।