গত কয়েক বছরে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাটাক ড্রোন। আসছে ড্রোন হামলার হুমকিও। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম কেনার পাশাপাশি দেশীয় প্রযুক্তিতেও জোর দিতে চাইছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
সূত্রের খবর শীঘ্রই ডিআরডিওর অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তির উত্পাদন ও বন্টনের জন্য প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ডিআরডিও-র এই অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে ভিআইপি সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবস, নমস্তে ট্রাম্পের মতো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল এই প্রযুক্তি।
সম্প্রতি জম্মু এয়ার ফোর্স স্টেশনে ড্রোন হামলার পরে এ বিষয়ে আরও বেশি করে ভাবছে সব মহলই। তিন সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী এবং বিভিন্ন রাজ্য পুলিশের থেকে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি চেয়ে আর্জি আসছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে।
ইজরায়েলের অত্যাধুনিক ডিফেন্স ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই ড্রোনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অ্যাটাক ড্রোনকে গুলিচালনার মাধ্যমে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।
ডিআরডিও প্রযুক্তি
ডিআরডিও-এর অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি আরও বেশি কার্যকর। এর মাধ্যমে ড্রোনটির ফ্রিকোয়েন্সি ৩-৪ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে জ্যাম হয়ে যায়। এরপর একে লেজার দিয়ে ধ্বংস করা যায়।
গত বছর ১৫ অগস্ট লালকেল্লার সুরক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছিল এই অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এটি তিরুমালা মন্দিরে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রের খবর, এরই মধ্যে ডিআরডিও বিভিন্ন পর্যায়ে এই অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তির ট্রায়াল দিয়েছে। সেই ট্রায়াল পর্যবেক্ষণ করে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সশস্ত্র বাহিনীগুলি। সুতরাং দেশের কিছু সংবেদনশীল স্থানে এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে।
অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উত্পাদন–
সূত্রের খবর, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে দ্রুত হারে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তির উত্পাদন করা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।