কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই রদবদলের জন্যে ১৩ জন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে হর্ষ বর্ধন, রবিশঙ্কর প্রসাদ, রমেশ পোখরিয়ালদের মতো হেভিওয়েটরাও ছিলেন। লাইভ হিন্দুস্তানের খবর অনুযায়ী, এবার আমলাদের রিপোর্ট কার্ডও খতিয়ে দেখা হবে। কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে কর্মরত যে আন্ডার সেক্রেটারি পর্যায়ের কর্মীদের বয়স ৫০ বছরের বেশি, তাঁদের কাজের খতিয়ানের সমীক্ষা হবে।
গত সপ্তাহেই কর্মী বর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর এই আমলাদের সমীক্ষা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই সমীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে আন্ডার-সেক্রেটারিদের তাঁর সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে সরিয়েও দেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে লাইভ হিন্দুস্তানের খবরে। জানা গিয়েছে যে কর্মীরা বেশ ছুটি নেন, তাঁদের উপর কোপ পড়তে পারে সরকারের। তাছাড়া কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থাকে বা কারোর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়, তাহলেও কোপ পড়তে পারে সেই কর্মীর উপর।
ফান্ডামেন্টাল রুল (৫৬০)১ এবং সিএসএস পেনশন রুলস-এর ৪৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই সমীক্ষা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই সমীক্ষার প্রাথমিক নোটিফেকশন জারি করা হয়েছিল ২০২০ সালের অগস্ট মাসে। এদিকে কাজের মান খারাপ থাকলে সেই কর্মীকে অবসর নিতে বাধ্য করা হবে নাকি রেখে দেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং দফতরগুলির কাছে জানতে চেয়েছিল কর্মী বর্গ এবং প্রশিক্ষণ দফতর।