ভগবান শঙ্করাচার্য্যকে জানার অর্থ সনাতন মানবিন্দু ও ঐতিহ্যকে জানা 🚩
যদি কেউ আমাদেরকে বলে তার সনাতন ধর্ম সম্পর্কে পূর্ণ বোধ রয়েছে তখন আমরা তাকে প্রশ্ন করি আপনি কি ভগবান আদি শঙ্করাচার্য্যের চরিত্র সম্পর্কে অবগত ? প্রতুত্তরে যদি সে বলে না আমি ভগবান শঙ্করাচার্য্যের চরিত্র সম্পর্কে বিস্তৃতরূপে অবগত নই তখন আমরা বলি আপনার এখনো সনাতন ধর্ম সম্পর্কে পূর্ণ বোধ তৈরী হয়নি।যদি কেউ আমাদেরকে বলে তার সনাতন ধর্ম সম্পর্কে পূর্ণ বোধ রয়েছে তখন আমরা তাকে প্রশ্ন করি আপনি কি ভগবান আদি শঙ্করাচার্য্যের চরিত্র সম্পর্কে অবগত ? প্রতুত্তরে যদি সে বলে না আমি ভগবান শঙ্করাচার্য্যের চরিত্র সম্পর্কে বিস্তৃতরূপে অবগত নই তখন আমরা বলি আপনার এখনো সনাতন ধর্ম সম্পর্কে পূর্ণ বোধ তৈরী হয়নি।
ভগবান শঙ্করাচার্য্যকে জানার অর্থ সনাতন ধর্মের অবতারকৃত গুরু পরম্পরাকে জানা। ভগবান শঙ্করাচার্য্যকে জানার অর্থ সনাতন ধর্মের ‘Unity in diversity’ কে জানা।
ভগবান শঙ্করাচার্য্যকে জানার অর্থ ‘National integration’ কে জানা। ভগবান শঙ্করাচার্য্যকে জানার অর্থ ‘Soial Reform’ সম্পর্কে জানা। ভগবান শঙ্করাচার্য্য কে জানার অর্থ সনাতন ধর্মের পুনঃসংস্থাপনা সম্পর্কে জানা।
আড়াই হাজার বছর পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত সতত, নিত্য, নিরন্তর, অনবরতরূপে সনাতন ধর্মের প্রশস্ত মানবিন্দুকে রক্ষা করবার কৃতিত্ব যদি কারো উপর অর্পিত হয় তবে তা হলো শঙ্করাচার্য্য পরম্পরা।
যদি শঙ্করাচার্য্য পরম্পরা না থাকতো, যদি ভগবান শঙ্করাচার্য্যের অবতার না হতো তাহলে এই আড়াই হাজার বছরে সনাতন ধর্মের কেমন দুর্গতি হতো তা কল্পনারও অতীত।
ইতিহাস খুলে দেখুন আমাদের এই ভারতের উপর প্রায় ১৭ বার আক্রমণ করেছিল অরাজক তত্ত্বরা। প্রথমে ফার্সিয়ান রাজা Dorus ভারতকে আক্রমণ করলো। তারপর ৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে Alexander আক্রমণ করলো। তারপর Indo-Greek King Demetrius আক্রমণ করলো।
তারপর ইরান থেকে Parthian এসে ভারতকে আক্রমণ করলো। তারপর Saka, Kushan, Hun এরা এসে আক্রমণ করলো।
অতঃপর আরবরা আক্রমণ করলো। Arabian invasion এর কিছুকাল পর পুনরায় আবার invasion শুরু হয়ে গেল।
মোহাম্মদ গজনী, মোহাম্মদ ঘোরী এরা ভারতে আক্রমণ করলো। তারপর ১২০৬ সালে গোলাম বংশের স্থাপনা হয়েছিল দিল্লি সালতানাতে যার অন্তর্গত চারটা slave dynasty আসে। তারপর মঙ্গোল থেকে চেঙ্গিস খান আসলো৷ এরপর মোঘলরা আসলো। তারপর ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্চ, ডাচ, পুর্তগিজ আসলো। যাকে Colonial Rule অর্থাৎ, ঔপনিবেশিক শাসনামল বলা হয়।
আড়াই হাজার বছরের মধ্যে এতগুলো আক্রমণকারীরা আমাদের ভারতবর্ষে আক্রমণ করা সত্ত্বেও আমাদের সনাতন মানবিন্দু ও সংস্কৃতি এখনো বেঁচে আছে।
এটা অনেক বড় বিষয়। যদি ইতিহাস নিয়ে আপনি বসেন তাহলে দেখবেন রোমান, ফার্সিয়ান, ব্যবিলন, ইউনান ইত্যাদি সাম্রাজ্য নষ্ট, ভ্রষ্ট, ধ্বস্ত, চুরমার হয়ে গিয়েছে।
তাহলে একবার ভাবুন তো আমাদের হিন্দুদের মধ্যে কি এমন বিলক্ষণ রয়েছে যার দরুণ প্রায় ১৭ বারের মতো বিদেশি আক্রমণকারীরা আক্রমণ করা সত্ত্বেও আমরা এখনো মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে আছি !
এর কারণ আমাদের সনাতন সংস্কৃতি ও মানবিন্দু রক্ষা করবার যে দায়িত্ব শঙ্করাচার্য্য পরম্পরার উপর ছিল। এবং নিশ্চিতরূপে শঙ্করাচার্য্য পরম্পরা তাঁর দায়িত্বের নির্বাহন বড় দক্ষতার করেছে। শঙ্করাচার্য্য পরম্পরা সনাতন ধর্মের প্রশস্ত মানবিন্দুকে বর্তমান কাল পর্যন্ত সুনিপুণ ভাবে রক্ষা করে আসছে৷
এইজন্যই ভগবান শঙ্করাচার্য্যকে জানার অর্থ সনাতন মানবিন্দু ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া।
তাই জগৎগুরু ভগবান আদি শঙ্করাচার্য্যকে ধর্মচক্র থেকে প্রকাশিত হবে ছয়পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক প্রবন্ধ।
নমামি শঙ্কর 🚩
নমামি দুর্গে 🚩
💖🙏 কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন অমিত শর্মা’জীর প্রতি; পুরী শঙ্করাচার্য্যের কৃপাধন্য শিষ্য 💖🙏
~ অদ্রিব দেবনাথ, ধর্মচক্র 🚩