আগে থেকে রিও অলিম্পিক্সের ব্যর্থতা তাড়া করছিল মীরাবাঈ চানুকে। টোকিও অলিম্পিক্সে পদক জয়ের লক্ষ্যে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই পদক জয়ের আগে বেশ চিন্তায় ছিলেন চানু। আগে থেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল চানুকে আর উপর প্রতিযোগিতার আগের দিন শুরু হয়েছিল চানুর ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা। ফলে বেশ চিন্তায় ছিলেন চানু।
ওঝন ধরে রাখার জন্য শুধু কড়াইশুঁটি আর মাংস খেয়ে দিন কাটাতেন মীরাবাঈ চানু। তাই দেশে ফিরে তিনি জানান, ‘ওজন ধরে রাখা খুব কঠিন। খুব কঠিন খাদ্যাভাসে থাকতে হয়। শুধু কড়াইশুঁটি আর মাংস খেতাম।’ দেশে ফিরে যদিও প্রিয় পিৎজা খেয়েছেন অলিম্পিক্সের রুপোজয়ী।
তবে অলিম্পিক্সে নামার আগে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন মীরাবাঈ চানু। তাঁর পদক জয়ের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও অঘটন ঘটে সেদিন বিকেল থেকে। হঠাৎ করেই ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা শুরু হয় চানুর। এরপরেই চিন্তায় পড়ে যান রুপো জয়ী অলিম্পিয়ান। সবকিছু শুনে ‘প্ল্যান বি’ ভেবে ফেলেন মীরাবাঈ চানুর কোচ বিজয় শর্মা। পদক জয়ের লড়াইয়ে নামার আগে অনুশীলন ভেস্তে যায় চানুর।
দেশে ফিরে চানু জানান, ‘প্রচণ্ড চিন্তায় ছিলাম। বুঝতেই পারছিলাম না কিছু। আমার পদক জয়ের আগের রাতেই এমন হল। সেই সময় শরীর অন্য ভাবে কাজ করতে শুরু করে। স্বাভাবিক ছন্দ হারিয়ে যায়। সেই নিয়ে চিন্তা পড়ে যাই। কিন্তু আমি নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম। খেলার মাঝে এমন হতেই পারে। আমরা অভ্যস্ত।’
চানুর কোচ বিজয় শর্মা বলেন, ‘পদক জয়ের আগের রাতে দু’জনেই খুব চিন্তায় ছিলাম। নিজেদের পরিকল্পনা পাল্টে ফেলতে হয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল সোনা জয়। তবে এই কারণে কিছুটা ধাক্কা খেল সেই লক্ষ্য। চিনের প্রতিপক্ষকে হয়তো আরও বেশি লড়াই দিতে পারতাম আমরা।’