মোবাইল না পেয়ে আত্মঘাতী হল দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণীর কমডহরি বোসপাড়ায়। এর আগে এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। এর আগেও মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে বকাবকি করায় দাদাকে খুন করে আত্মঘাতী হন ভাই।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৫ বছরের একটি কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে সেখান থেকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিন সোয়া ১২টা নাগাদ মায়ের বান্ধবীর এক মোবাইলের দোকান থেকে বাড়িতে এসে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন কিশোরের মা বাড়িতে ছিলেন না। পৌনে দুটোর বাড়ি ফিরে খোঁজ করতে এসে দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে ওই কিশোর।
জানা গিয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর মা তাঁর ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে থাকত। বাড়িতে মায়ের কাছে একটাই মোবাইল ফোন ছিল। মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে বায়না করেছিল কিশোর। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে মোবাইল কিনে দিতে চাইছিল না কিশোর। দুদিন ধরে মায়ের সঙ্গে বচসা হয়েছিল কিশোরের। পুলিশ জানতে পেরেছে, মায়ের বান্ধবীর কাছে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য বায়নাও করেছিল সে। কিন্তু ওই বান্ধবীও ফোন কিনে দিতে রাজি হননি।