প্রকৃতি সর্বদা পরিবর্তনশীল, বিশেষ করে বাংলায় ঋতুর সংখ্যা ৬ টি, আজ গ্রীষ্ম তো কাল বসন্ত। এই পরিবর্তনশীল প্রকৃতির সাথে টক্কর দিয়ে পরিবর্তনশীল ভারতের রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। আর এখন সেই পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবিজেপি।
২০১৪ সালে দিল্লির মসনদে ক্ষমতায় বসেন নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক এক বছর পরই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদে নিয়োগ করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। সেই তখন থেকে আজ পর্যন্ত সভাপতির আসনে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
তবে নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে তাঁকে নিয়ে দলীয় কর্মীদের মনে নানা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তাঁর মেয়াদ কালও প্রায় শেষের দিকে। সবমিলিয়ে এবার দিলীপ ঘোষ বেকায়দায়। তাকে সরিয়ে সেই জায়গায় নতুন মুখ আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
দলীয় নীতি অনুযায়ী, এক ব্যক্তি টানা ৬ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যের দায়িত্বে বহাল থাকতে পারেন না। সেই হিসেবমতো, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দলের অভ্যন্তরে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে।
কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষকে তাঁর জায়গা থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় কোন এক দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে দিলীপ ঘোষের জায়গায় রাজ্য সভাপতির স্থানে তিনটে নাম বারবার ঘুরেফিরে উঠে এসেছে। প্রথমজন, বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি, দ্বিতীয়জন, ইংলিশবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী এবং তৃতীয়জন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে দুধকুমার মন্ডলের নাম প্রস্তাব করেছেন।
দিলীপ ঘোষের পর কে বঙ্গেবিজেপির সভাপতি হবেন এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ বলেছেন অনির্বাণ গাঙ্গুলি ভাল মুখ হতে পারে। আবার কেউ বলেছেন দুধকুমার মন্ডলকে সুযোগ দেওয়া হোক। এই পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে দেবশ্রী চৌধুরীর নাম এনেছেন।