৯১% ব্র্যান্ডের পালস অক্সিমিটার সহ পাঁচ চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম কমাল কেন্দ্র

ন্য়াশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির নয়া নির্দেশিকার মাধ্যমে প্রায় ৯১ শতাংশ ব্র্যান্ডের উৎপাদিত পাঁচটি চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম কমল দেশে। কেন্দ্রের ঘোষণায় দাম কমেছে পালস অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, নেবুলাইজার, ব্লড প্রেশার মনিটর এবং গ্লুকোমিটারের। এদিকে চিকিৎসা সরঞ্জাম ছা়ডাও মোট ৬২০টি পণ্যের দাম কমেছে। মূলত এই পণ্যগুলির ক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে দাম ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে অনেক পণ্যের দাম কমতে চলেছে অনেকটাই। এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয় কেন্দ্রের রাসায়নিক ও সার মন্ত্রক।

কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে ন্য়াশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি পাঁচটি চিকিৎসা সরজ্ঞামের ট্রেড মার্জিন নতুন করে বেঁধে দিয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ৬৮৪টি পণ্য দাম সংশোধন করা হয়েছে। নতুন এই সংশোধিত মূল্য কার্যকর করা হয়েছে ২০ জুলাই থেকে। এই দাম মেনে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্বে থাকবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলাররা। এদিকে প্রস্তুতকারী অথবা আমদানিকারকদের নিজেদের স্টকের বিশদ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়তেই চাহিদা বেড়েছিস অক্সিমিটারের। সেই সঙ্গে এই যন্ত্রের বাজার মূল্যও বেড়েছিল তড়তড়িয়ে। উল্লেখ্য, ফুসফুসের কোনও অসুখে যাঁরা আক্রান্ত, সাধারণত তাঁদের জন্য পালস অক্সিমিটার প্রেসক্রাইবড করতেন চিকিৎসকরা। তবে, করোনার এই আবহের মধ্যে অন্য বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রেও চিকিৎসকরা এখন এই চিকিৎসা-যন্ত্র প্রেসক্রাইবড করছেন। যার জেরে, এই চিকিৎসা-যন্ত্রের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেড়ে গিয়েছে। এমনও দেখা যাচ্ছে, কোনও চিকিৎসক প্রেসক্রাইব না করলেও অনেকে ঘরে রাখছেন এই চিকিৎসা-যন্ত্র। চিকিৎসকরা বলছেন, এই চিকিৎসা-যন্ত্রের মাধ্যমে রোগী নিজেই দ্রুত তাঁর ফুসফুসের কার্য ক্ষমতা পরীক্ষা করে নিতে পারেন। কারণ, পালস অক্সিমিটারের মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ এবং হার্টবিট দেখে নেওয়া যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.