‘দেশের মাটি’ একটি জাতীয়তাবাদী হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ ।এই গ্ৰুপের সদস্যগণ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক যোগদানের মাধ্যমে সমাজে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রসারের কাজে নিয়োজিত।
এই কাজেরই অংশ হিসেবে ‘দেশের মাটি’ বর্তমান সময়ের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ‘গুগল মীট’ এর মাধ্যমে সনাতনী ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আজ ২৪ শে জুলাই, ২০২১ ; শনিবার বিকেল ৫ টায় দেশের মাটি পক্ষ থেকে গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে একটি ভাবগম্ভীর অনলাইন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হলো।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শিক্ষক মিলন খামারিয়া মহাশয় অন্যান্য সদস্যবৃন্দের সমর্থনে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. কল্যাণ জানা মহাশয়কে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেন।
‘দেশের মাটি’র পরিচিত সঙ্গীত শিল্পী তরুণ কুমার বন্দোপাধ্যায় মহাশয় ‘গুরুদেব দয়া করো দীনজনে’ সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
এরপর শিক্ষক পিন্টু সান্যাল ভারতবর্ষের গুরু পরম্পরার ঐতিহ্য ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি তে তুলে ধরেন।এরপর সঙ্গীত পরিবেশন করেন পিঙ্কি ঘোষ মহাশয়া।’দেশের মাটি’র একান্ত নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রত্যেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মতো এই অনুষ্ঠানেও সবার সামনে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের চিত্র অঙ্কন করেন জাতীয়তাবাদী চিত্রশিল্পী শীর্ষ আচার্য মহাশয়।
মানস হাজরা মহাশয় নারদ মুনি ও প্রহ্লাদের গুরু-শিষ্য সম্পর্ক কে মনে করিয়ে দিয়ে ভারতবর্ষের গুরু-শিষ্য পরম্পরা ব্যাখ্যা করেন।
গুরু পূর্ণিমার মাহাত্ম্য সমাজের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন গুরুর নামে সমাজে বিভেদ দূর করে সকল গুরুর মধ্যে ভারতবর্ষের সনাতনী ঐক্য কে খুঁজতে পথ দেখান শ্রীতমা পাল মহাশয়া।
শুভদীপ মুখার্জি মহাশয়ের সঙ্গীত পরিবেশনের পর
চিকুর কুমার রায় মহাশয় শিক্ষাগুরু হিসেবে প্রকৃতির ভূমিকা তুলে ধরে
আগামী প্রজন্মের মধ্যে গুরু-শিষ্য পরম্পরা কে প্রসারিত করার প্রয়াস করেন।
নবকুমার হালদার মহাশয় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা ‘অমলকান্তি’ আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানটিকে এক অন্যমাত্রা দেন।
শুভাশীষ রায় মহাশয় সদ্ গুরুর বৈশিষ্ট্য এবং জীবনে গুরুর প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত সহজভাবে বুঝিয়ে বলেন এবং গুরুর গুণাবলী চিনিয়ে দিয়ে বলেন—
‘গুরু মন থেকে শঙ্কা দূর করেন। গুরু যোগ্য শিষ্য কে নিজের গুণে চিনে নিয়ে জগৎ উদ্ধারের কাজ করিয়ে নিতে পারেন।’ উদাহরণ স্বরূপ তিনি রামকৃষ্ণ – বিবেকানন্দের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কল্যাণ জানা মহাশয় নিজের সমাপ্তি ভাষণে এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন ‘পুরো সমাজের কাছে ‘দেশের মাটি’র বার্তা পৌঁছতে চাই। ভবিষ্যতে আরো এইধরনের অনুষ্ঠান করে সমাজ কে , দেশ কে শক্তিশালী করতে পারবো।’
কবিগুরুর ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গেয়ে অনুষ্ঠানের মধুর সমাপন করেন স্বাগতা চ্যাটার্জী মহাশয়া।
প্রতিবেদনে পিন্টু সান্যাল