Digha: দিঘা-তাজপুরে বেড়াতে যাবেন? করোনাকালে নির্ঝঞ্ঝাট ভ্রমণে কী কী করতেই হবে, জেনে নিন

করোনাকালে দিঘা, তাজপুর বা মন্দারমণির সমুদ্রসৈকতে বেড়ানোর পথে একাধিক বিধিনিষেধের বেড়া পেরোতে হবে পর্যটকদের। অনেকের কাছেই সেই প্রশাসনিক নির্দেশ রীতিমতো সমস্যার মনে হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বেড়াজাল কাটাতে কতগুলি শর্তপূরণ করলেই নির্ঝঞ্ঝাটে ছুটির দুপুর কাটাতে পারেন দিঘা-তাজপুর বা মন্দারমণির সমুদ্রসৈকতে।

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি প্রশাসনের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, দিঘা বা তাজপুরের মতো জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার প্রধান শর্তই হল পর্যটককে করোনামুক্ত হতে হবে। প্রমাণ হিসাবে কোভিডের দু’টি টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেখাতে হবে।

তবে যাঁর কাছে সে শংসাপত্র নেই, তিনি কী করবেন? সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ছা়ড়পত্র হল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট। তবে ওই রিপোর্টে অবশ্যই কোভিড নেগেটিভ হতে হবে। যে কোনও সরকারি হাসপাতাল বা সরকার স্বীকৃত সংস্থার থেকে এই রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন। তবে চটজলদি বেড়ানো স্থির হলে সরকারি হাসপাতাল থেকে সে রিপোর্ট পেতে অনেকটা সময় লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থায় গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারেন। তা খরচসাপেক্ষ হলেও খানিকটা সময় বাঁচবে


দিঘা বা তাজপুরের মতো জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার প্রধান শর্তই হল পর্যটককে করোনামুক্ত হতে হবে।
দিঘা বা তাজপুরের মতো জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার প্রধান শর্তই হল পর্যটককে করোনামুক্ত হতে হবে।

খরচ বাঁচিয়ে চটজলদি রিপোর্ট হাতে পেতে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (র‌্যাট) করাতে পারেন। সমস্ত সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র ২-৩ ঘণ্টাতেই এর রিপোর্ট আপনার হাতে চলে আসবে। সরকার স্বীকৃত বেসরকারি ল্যাবেও এই টেস্ট রিপোর্ট করাতে পারেন স্বল্প খরচেই। তা নিয়েই দিঘায় আসতে পারেন।

তবে এ সব শর্তের একটিও পূরণ না করলে দিঘা, তাজপুর বা মন্দারমণিতে বেড়াতে আসা উচিত হবে না। কারণ, সমুদ্রসৈকতে ঢোকার মুখেই রয়েছে প্রশাসনের ক়ড়া নজরদারি। নাকা তল্লাশির সময় প্রয়োজনীয় শংসাপত্র সঙ্গে না থাকলে সেখান থেকেই বাড়ি ফিরতে হবে। কোনও ভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দিঘা বা তাজপুরের মতো জায়গায় ঢুকেও স্বস্তি নেই। জায়গা পাবেন না কোনও হোটেলেই। কারণ, ধরা পড়লে কড়া শাস্তির মুখে পড়বেন হোটেল ব্যবসায়ী এবং পর্যটক— দু’পক্ষই।

দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দিঘাকে করোনামুক্ত রেখে কী ভাবে পর্যটকদের বেড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। পর্যটকদের কাছে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হচ্ছে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.