কলকাতা, ২৩ জুলাই (হি. স.) : গুরুপুর্ণিমার পুণ্য তিথিতে পরলোক গমন করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল কন্যাকুমারীর প্রতিষ্ঠাতা একনাথ রনাডের ব্যক্তিগত সচিব বাসুদেব ঝুনঝুনওয়ালা । শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই একনিষ্ঠ স্বয়ংসেবক । আজ সকালে আলিপুরের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর । তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া সংশ্লিষ্ট মহলে ।
জানা গেছে দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্য জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি । আজ সকাল ৬ টা ৫০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অকৃতদার বাসুদেব ঝুনঝুনওয়ালা । মৃদুভাষী, সদাহাস্য ও স্নেহশীল বাসুদেব ঝুনঝুনওয়ালা ব্যক্তিগত জীবনে বিমা সংস্থা এলআইসি সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ।তিনি ১৯৬৭-৬৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন কোচবিহারে । বিবেকানন্দ কেন্দ্রে কন্যাকুমারীতে ছয় বছর পূর্ণকালীন কর্মী হিসেবে সেবাকাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন । বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল কন্যাকুমারীর প্রতিষ্ঠাতা একনাথ রানাডের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে তাঁর সঙ্গে কর্মাদর্শের ঘটনা স্মরণীয় ইতিহাস। তিনি তাঁর সাতাশি বছরের জীবনে আরএসএস-এর বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সহযোগিতার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতেন । তিনি বহুভাষী সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ।
তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের কার্যবাহ জিষ্ণু বসু প্রয়াত ঝুনঝুনওয়ালাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বলেন যে, বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই তিনি এই কেন্দ্রের সাথে যুক্ত ছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সেবা কাজের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর স্নেহময়ী ও পরিশ্রমী ব্যক্তিত্ব স্বয়ংসেবকদের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু দুঃখজনক।
বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল সেন্টারের সেক্রেটারি কন্যাকুমারী নিবেদিতা ভিদে । তিনি বলেন, বিবেকানন্দ শিলা স্মারক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাসুদেব ঝুনঝুনওয়ালা এই কেন্দ্রের কর্মী ছিলেন। বাসুদেবজি এই কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী রণাডেজির অফিস সেক্রেটারির কাজ করতেন। কেন্দ্রে যোগদানের আগে আমি তাঁর হাত থেকে চিঠি পেতাম। তিনি পুরো সময়ের কর্মী ছিলেন এবং কন্যাকুমারী কেন্দ্রের প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ শীলা স্থাপনা থেকে কেন্দ্রটি প্রস্তুত না হওয়া অবধি কন্যাকুমারীতে ছিলেন। তৎকালীন যুবকদের চিঠি লেখার দায়িত্ব ছিল বাসুদেবজীর উপর। কলকাতায় থাকা সত্ত্বেও তিনি সর্বদা কেন্দ্রের সংস্পর্শে ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে বিবেকানন্দ কেন্দ্রের সম্পূর্ণ ইতিহাস জানেন এমন ব্যক্তি আমাদের মধ্যে আর নেই, এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক। ঈশ্বর তাঁর বিদেহী আত্মাকে আশ্রয় দিন। কেন্দ্র থেকেও তাঁর স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন সভার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি ।
তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন বিবেকানন্দ বিজ্ঞান মিশনের প্রাক্তন সেক্রেটারি বিজ্ঞানী কল্যাণ কুমার গাঙ্গুলি ।হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি
2021-07-23