ভারত (India) এমন একটা দেশ যেখানে ঈশ্বরের আশীর্বাদে খাদ্য,জল ইত্যাদি কোনোকিছুর অভাব নেই। কিন্তু এখন বিদেশি ষড়যন্ত্র ও ভারতীয়দের সচেতনতার অভাবে ভারতের ভবিষ্যত প্রজন্ম সমস্যায় পড়তে চলেছে। ভারতে যেভাবে অকারণে জলের অপচয় করা হয়, এভাবে চলতে থাকলে সেদিন আর দূরে নেই যখন জলের জন্য গৃহ যুদ্ধ শুরু হবে।
এমনিতেই বড় বড় শহরগুলির পরিস্থিতি এমন যে পানীয় জল না কিনলে উপায় নেই। আর বিদেশি কোম্পানিগুলি সেই সুযোগ নিয়ে ব্যাপকভাবে লুট চালাচ্ছে। যুগ যুগ ধরে ভারতের যে নদী বয়ে চলেছে সেগুলিও ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে শুরু হয়েছে। ভারতের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়, সচেতনতার অভাবে ইতিমধ্যে ভারতের অনেকে নদী আজ বিলুপ্ত যার মধ্যে সরস্বতী নদীর নামও আসে।
অবশ্য কেন্দ্র সরকার নদীগুলিকে রক্ষার জন্য বেশকিছু প্রকল্প চালু করেছে। একই সাথে সরকার দেশের বড় নদীগুলিকে জুড়ে দিয়ে সবথেকে বড় কৃত্রিম নদী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য সরকার ৮৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আগের বছর থেকে এই পরিকল্পনার উপর হাত দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রকল্পকে মঞ্জুরি দিয়েছেন। সরকার বিজ্ঞানী ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে কৃত্রিম নদী নির্মানের উপর কাজে নেমেছে। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশে সরকার এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।
এর জন্য ৩০০০ বড় বাঁধ এবং ৩৭ প্রাকৃতিক নদীর গতিপথকে পরিবর্তন করা হবে। রিভার লিঙ্কিংয়ের ফলে জলসঙ্কট মেটানোর সাথে সাথে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কাজে লাভ পাওয়া যাবে। কেরলের সরকার ছাড়া বাকি রাজ্যগুলি এই প্রজেক্টের জন্য সহমত প্রকাশ করেছে। নর্মদা, তাপ্তি, গঙ্গা, গোদাবরী, দামোদর, মহানদী ইত্যাদি নদ নদীকে জুড়ে জল সমস্যা মেটানোর উপর কাজ করা হবে।
প্রথম চরণের জন্য টেকনিক্যাল কাজ শুরু হয়েছে। মূলত দুই চরণে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে যার পর ভারতে থাকবে বিশ্বের সবথেকে বড় কৃত্রিম নদী। উল্লেখ্য, ভারতের নদীগুলি মূলত পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে প্রবাহমান। এরফলে একদিকে পূর্বের বহু জায়গায় যেমন বন্যা দেখা যায়, তেমনি পশ্চিমের অনেক স্থানে জলসঙ্কটে খরা হয়। রিভারলিঙ্কিং এর মাধ্যমে বন্যার অতিরিক্ত জলকে খরাপ্রবন এলকায় রাখা সম্ভব হবে।