তিব্বতের মাটিতে চিনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম সফর করলেন শি জিনপিং। কোনও সূচনা ছাড়া আচমকা এই সফর নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। তিব্বতকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতে এই আচমকা সফর হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। উল্লেখ্য, ক্রমেই তিব্বতে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে বেজিং। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জিনপিংকে। এরই মাঝে আচমকা তিব্বতে পৌঁছে গেলেন জিনপিং।
জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবারাই তিব্বতের রাজধানী লাসায় পৌঁছান জিনপিং। চিনা সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া এই সফরের ছবি পোস্ট করে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে। জানা গিয়েছে এই সফরে জিনপিং অরুণাচলপ্রদেশ-তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত নিয়াংচি শহরে পৌঁছে যান। সেখানে সিচুয়ান-তিব্বত রেল প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন। সেই সফর চিনা সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ড সীমান্তে চিনা সেনার গতিবিধি বেড়েছে। সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে চিনা সেনা। উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি এলাকার প্রকৃত সীমান্ত রেখার ওপারে সাম্প্রতিককালে অতিরিক্ত গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির। একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিনা সেনার অতিরিক্ত ৩৫টি ট্রুপ মোতায়েন হয়েছে উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি সীমন্তে। গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াতও। এদিকে লাদাখে এখনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে এবার অরুণাচল সীমান্তের এত কাছে জিনপিং পৌঁছে যাওয়ায় জল্পনা বেড়েছে বেজিংয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে।