টোকিও অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার জন্য সবকিছু প্রস্তুত। ২৩শে জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যাবে বিশ্বের সব থেকে বড় খেলার প্রতিযোগিতা। করোনার আবহের মধ্যেই অলিম্পিক্স আয়োজন করা একটা চ্যালেঞ্জের থেকে কম কিছু নয়। সেটাই করে দেখাচ্ছে আইওএ। তবে এবারের অলিম্পিক্স অন্য বাকি অলিম্পিক্সেরতুলনায় একটু আলাদা হতে চলেছে। অনেক বেশি বিধিনিষেধ থাকবে এবারের অলিম্পিক্সে। সৌজন্যে অবশ্যই করোনা। টোকিওতে এখন জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। দৈনিক সংক্রমণ ১৪০০ চলছেই। গেমস ভিলেজের ভিতরে ও বাইরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বহু অ্যাথলিট। এর মাঝেই ২৩শে জুলাই উদ্বোধন হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক্স।
অলিম্পিক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছে ঐতিহাসিক একটা ঘটনা। এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে চান সকলেই। কিন্তু এবারে সেই সুযোগ সকলে পাবেন না, কারণ করোনা। অতিমারীর কারণে এবারের অলিম্পিক্সে অনেক বিধিনিষেধ করা হয়েছে, ফলে ভারতের বহু অ্যাথলিট এবারের উদ্বোধন মিস করতে চলেছেন। ভারতের ডেপুটি শেফ দ্য মিশন প্রেমকুমার ভার্মা জানিয়েছেন, মার্চপাস্টে অ্যাথলিটরা সকলেই অংশ নিতে পারবেন। তবে প্রত্যেক দেশের মাত্র ৬ জন আধিকারিককেই অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরদিনই যাঁদের ইভেন্ট রয়েছে তাঁদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না থাকার কথা জানান হয়েছে। নিজেদের অনুশীলনে মনোনিবেস করার কথা বলা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাঝরাত পর্যন্ত চলতে পারে। ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনের পর বিশ্রাম নেওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে মোট ১২৭ জন এবারের অলিম্পিক্সে অংশ গ্রহন করছে। কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও আধিকারিক মিলিয়ে ভারতীয় কনটিনজেন্টে রয়েছেন ২২৮ জন। শুটার, তিরন্দাজ, বক্সার, ভারতের পুরুষ ও মহিলা হকি দলের খেলা রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরদিন। মার্চপাস্টে ভারতের পতাকা বহনের ভার পেয়েছেন এমসি মেরি কম ও মনপ্রীত সিং। মেরির ইভেন্ট না থাকলেও শনিবার মনপ্রীতের নেতৃত্বে ভারতের হকি দলের খেলা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। কর্তারা জানিয়েছেন, কোয়ারান্টিনে থাকা অ্যাথলিটরা যেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না থাকেন। এরফলে শুটিং-এর বহু প্রতিযোগি এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না।