বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন পশ্চিমবাংলায় ‘খিলাফত গঠনের’ চেষ্টার কোনো খামতিই রাখছে না: জঙ্গি জেরায় উঠে এলো আরো ভয়ঙ্কর তথ্য

সম্প্রতি পশ্চিম বাংলার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) এর হাতে ধরা পড়া জামাত জঙ্গি লালু শেখ জেরায় জানিয়েছে সে আর নিজামুর রহমান জামাতকে পশ্চিমবাংলায় লজিস্টিকস ও ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট দিতো।

জেরা চলাকালীন লালু এও জানায় যে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা তথা পশ্চিমবাংলায় বেড়াতে আসা উচ্চবিত্ত বাংলাদেশীদের অপহরণ করে একই সাথে বাংলাদেশে অপহরণকারীদের আত্মীয়দের কাছ থেকে মুক্তিপণ ও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা জামাতের।

প্রসঙ্গত উলেখ্য, নাজিমুল পশ্চিম হারিদেবপুরে “জয়রাম ব্যাপারী ” নাম দিয়ে থাকতো আর এই নামেই করানো হয়েছিল আধার , ভোটার কার্ড , এমনকি প্যান কার্ড ও।
সূত্র মারফত খবর , লালু ও নাজিমুল , দুজনেই কলকাতা তথা রাজ্যে স্লিপার সেলগুলোকে এক্টিভেট করার কাজ করতো।
মফস্বলের এমনকি কলকাতার কলেজ গুলি থেকে কম্পিউটার জানা মুসলিম ছাত্র , বিশেষ করে ছাত্রীদের জিহাদ মডিউলে প্রশিক্ষণ দিয়ে একটা বড়ো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

গোয়েন্দা সূত্রের মতে, দেশজুড়ে বাছাই করা অঞ্চলগুলোকে কেন্দ্র করে জঙ্গি ইনফরমার নিয়োগের কাজ সুকৌশলে চালাচ্ছে আই এস আই। মাদ্রাসা ও মসজিদগুলোতে ধর্মীয় সভাগুলোকে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে গঞ্জের ধর্মীয় জলসাগুলোই এজেন্টদের টার্গেট। সেখানেই মগজধোলাইয়ের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে খিলাফতের ডাক যা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজ্যকে সুরক্ষিত করার কাজকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। রাজ্যের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার ও রাজ্যকে বিনিয়োগের মুখ হিসেবে দেখাবার ক্ষেত্রে আভ্যন্তরীন নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন্য।

চিন্তার বিষয় হলো, সাথে মাদ্রাসা ও মসজিদের ধর্মীয় সভায় ধৰ্মালোচনাগুলোতে বোঝানো হচ্ছে ইসলামের প্রতি চরম দায়বদ্ধতার ব্যাপারে, একই সঙ্গে দেয়া হচ্ছে অনেক প্রলোভন।
মোটা অর্থ ও আরো অনেক সুযোগ সুবিধের বিনিময়ে কেনা হচ্ছে আনুগত্য এবং এর ফলে পাক গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই এর হয়ে ভারতের মাটিতে কাজ করার লোকের কোনো অভাব থাকছেনা।

সূত্রের আরো খবর, বেশ কিছু আঞ্চলিক ও সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সাথেও গোপনে খুব ভালো সম্পর্ক রেখে চলছে বা চলে আই এস আই। এর ফলে পাক গোয়েন্দা বা গুপ্তচর সংস্থার জন সংযোগ খুবই সুপরিকল্পিত, ফলে পাক গুপ্তচরেরা খুব সহজেই ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.