বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল-সিপিএম

বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল-সিপিএম নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় নাম জড়ালো সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র সহ ঐ এলাকার প্রথম সারির তৃণমূল নেতার।

আহত ওই বিজেপি নেতার নাম অভিজিৎ লোহার। সোমবার রাতের এই ঘটনা ঘিরে বাঁকুড়ার তালডাংরার মামড়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ঐ দিন রাতে তাদের দলের তালডাংরা মণ্ডল-৩ সভাপতি অভিজিৎ লোহার তার মামড়া গ্রামের বাড়িতে ছিলেন।

সেই সময় তৃণমূল ও সিপিএম আশ্রিত বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী লাঠি, বাঁশ দিয়ে ব্যাপক মারধোর করে তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই ঐ বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ সরাসরি এই ঘটনায় তৃণমূল-সিপিএম যৌথ বাহিনী যুক্ত বলে দাবী করে বলেন, অভিজিৎ লোহারের নেতৃত্বে সাবড়াকোনে আমাদের সভায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেকারণেই বিজেপিকে ‘আটকাতে’ তৃণমূল-সিপিএম এক হয়ে গিয়েছে৷

সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূল-সিপিএম নেতা কর্মী এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন। জনতা ওদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে, এর পরেও বুলেটের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি আক্রান্তের ঘটনাকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, কোন তৃণমূল নেতা কর্মীর এই ধরণের আচরণ দল বরদাস্ত করেনা।

যে বা যারা এই ঘটনায় যুক্ত, দলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী তারা প্রশাসনের কাছে জানাবেন বলে তিনি জানান।

পাশাপাশি, সিপিএম নেতা ও তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবী বিজেপির ঐ মণ্ডল সভাপতিকে মারধোরের ঘটনায় তিনি বা তার দলের কোন কর্মী জড়িত নয়। ঐ মণ্ডল সভাপতি গ্রামে একটি মিটিং ডেকেও আসেননি।

গ্রামবাসীদের ধারণা, তৃণমূলের সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই নিজের ডাকা ঐ মিটিং এ তিনি অনুপস্থিত। একই সঙ্গে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, উনি গ্রামে আসুন। ওনার ‘হিম্মত’ থাকলে ওনাকে ওখানে নিয়ে গিয়ে গ্রামের মানুষের বক্তব্য শুনবেন বলেও তিনি দাবী করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.