পশ্চিমবঙ্গ থেকে জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দের সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী অথবা জামাত উলেমা-এ- হিন্দের এরশাদ মাদানী, এদের মধ্যে দেখা যায় একই ধরণের সাম্প্রদায়িকতার গাথায় বাঁধা দেশদ্রোহিতার সুর

পশ্চিমবঙ্গ থেকে জমিয়তে উলেমা-এ-হিন্দের সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী অথবা জামাত উলেমা-এ- হিন্দের এরশাদ মাদানী, এদের মধ্যে দেখা যায় একই ধরণের সাম্প্রদায়িকতার গাথায় বাঁধা দেশদ্রোহিতার সুর।

এদের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র মনে করা যেতে ভারতে থেকে, খেয়ে, ফুলে, ফেঁপে বেড়ে উঠে
দেশের বিরুদ্ধে বিরোধের আগুনে ইন্ধন দেওয়া। বোধহয় ডি এন এ এক বলেই বিপত্তি!

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত দুই আলকায়দা জঙ্গিদের শুধু আইনী সাহায্য নয় , সব প্রকার সাহায্য দেবে জামাত উলেমা-এ- হিন্দের আরশাদ মাদানী। ব্যক্তি যেই হোক না কেন ওই ধরণের হলেই বোধহয় একই ধরণের চিন্তধারার সমন্বয় দেখা যায়।

সে যেই হোক না কেন, জঙ্গিদের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন যোগাবেই যোগাবে। এটা যেন একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট !

আইনি সহায়তার কথা পরিষ্কার ও প্রাঞ্জল ভাষায় জানিয়ে জামাতের প্রধান আরশাদ মাদানী বলে যে ধৃতরা জঙ্গি নয়, আর যদি জঙ্গিও হতো তাহলেও ইসলামএর জন্য কুরবানী দেওয়া যুবকদের পাশে সে দাঁড়াতো কারণ একজন মুসলিম হিসাবে এটা তার নৈতিক কর্তব্য।
মাদানী ভারতের প্রত্যেক মুসলিম কে ধৃত দুই আলকায়দা জঙ্গির সমর্থনে দাঁড়াতে বলেছে।
মাদানীর অভিযোগ , বি জে পি ও আর এস এস এর চক্রান্ত তথা কেন্দ্রীয় সরকারের মুসলিম বিরোধী নীতির জন্যই এই সব ধরপাকড় চলছে শুধমাত্র মুসলিম সমাজ কে হেনস্থা করার
জন্য।
উলেখ্য, একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আল-কায়েদা জঙ্গি গ্রেফতারের পর জমিয়তে-উলেমা-এ- হিন্দ প্রধান সিদ্দিকুল্লা জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য প্রদানের কথা জানান গত বছর।
মুর্শিদাবাদ আর কেরল থেকে NIA ৯ জন সন্দেহভাজন আলকায়দার জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল তখন । জেরায় জানা যায় এরা দিল্লী, এনসিআর সমেত দেশের অনেক যায়গায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মোট গ্রেফতার হওয়া ৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গোয়েন্দা বিভাগের ইনপুট পাওয়ার পরেই NIA এর ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়।
কিন্তু এই ধরণের কথা বলার পর ও এই ধরণের ভারত বিরোধী সংগঠন বহাল তবিয়তে আছে, সরকার পক্ষ থেকে এদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.