দিল্লীর ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশাল কমিশনার সূত্রে জানা গিয়েছে যে রাজস্থান, দিল্লী ও উত্তরপ্রদেশ নিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই একটা বড়ো গুপ্তচর বৃত্তির পরিকল্পনা নিয়েছে।
ওই রাজ্যের স্থানীয় মুসলিমদের সুকৌশলে কাজে লাগাচ্ছে তারা এবং একই সাথে মাদ্রাসা ও মসজিদের ধর্মীয় সভায় ধৰ্মালোচনাগুলোতে বোঝানো হচ্ছে ইসলামের প্রতি চরম দায়বদ্ধতার ব্যাপারে, একই সঙ্গে দেয়া হচ্ছে অনেক প্রলোভন।
মোটা অর্থ ও আরো অনেক সুযোগ সুবিধের বিনিময়ে কেনা হচ্ছে আনুগত্য এবং এর ফলে পাক গুপ্তচর সংস্থা আই এস আই এর হয়ে ভারতের মাটিতে কাজ করার লোকের কোনো অভাব থাকছেনা।
সূত্রের আরো খবর, বেশ কিছু আঞ্চলিক ও সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সাথেও গোপনে খুব ভালো সম্পর্ক রেখে চলছে বা চলে আই এস আই। এর ফলে পাক গোয়েন্দা বা গুপ্তচর সংস্থার জন সংযোগ খুবই সুপরিকল্পিত, ফলে পাক গুপ্তচরেরা খুব সহজেই ভারতের সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।
যেমন ধরা যাক ধৃত পাক গোয়েন্দার এজেন্ট হাবিবুর রহমানের কথা।
পোখরানের এক জায়গায় একজন ফল ব্যাবসায়ী হিসাবে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে ছিল সে, এমনকি শেষের দিকে স্থানীয় সেনা ক্যান্টিনে খাবারও সরবারহ করতো হাবিবুর , অথচ এই সব কাজ এতো সন্তর্পনে করতো যে কারণ কখনো কোনো সন্দেহ হয়নি।
সূত্রের আরো খবর , এক সময় নাগরিকত্ব আইন এর বিরোধে যে আন্দোলন বা বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছিল , তাতেও নাকি অংশ নেয় হাবিবুর রেহমান। ফলে পাক গোয়েন্দা সংস্থার মোকাবিলা করা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাদের কাছে সত্যি একটা বড়ো সমস্যা ও চ্যালেঞ্জও বটে।