লোকসভার বাদল অধিবেশন আজ থেকে শুরু হল। আর অধিবেশনের শুরুর প্রথম দিনেই সংসদ কক্ষ উত্তাল হল ফোনে আড়িপাতা অর্থাৎ পেগাসাস কান্ড নিয়ে। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগের দিনেই কেন এই পেগাসাস কান্ড সামনে এলো। এটা মোটেও কাকতালীয় নয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ রয়েছে বলে মনে করছেন নয়া তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বাদল অধিবেশন শুরুর আগের দিন রাতে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে সাংবাদিক রাজনৈতিক সহ অনেক মানুষের ফোনে আড়ি পেতেছে কেন্দ্র। আর আজ লোকসভায় এটাই হয়ে উঠেছিল টাটকা ইস্যু। ইজরাইলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে কেন্দ্র আরিফ পাচ্ছিল বলে অভিযোগ।এর জবাব দিতে গিয়ে নতুন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেন এটি একটি সর্বৈব মিথ্যা অভিযোগ। এই অভিযোগের মাধ্যমে ভারতের গনতন্ত্রকে কলুষিত করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে বাদল অধিবেশন ঠিক আগেই সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশ হওয়ার বিষয়টি কাকতালীয় নয় বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। এর পেছনে কোন রহস্য আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পেগাসাস কান্ড যে কাকতালীয় নয় সেটা তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন যে, এর আগ হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও নজরদারির অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সব পক্ষই সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেয়। এবারের অভিযোগের পেছানেও সঠিক কোনো ভিত্তি নেই বলে উল্লেখ করেছেন নতুন মন্ত্রী। তিনি বলেন এটি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অভিযোগ। একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে এতে। কিন্তু এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
দা ওয়্যার এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয় দেশের শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সরকারি আমলা, বিজ্ঞানী, বিরোধী নেতা, সহ দেশের প্রায় ৩০০ নাগরিকের টেলিফোন নম্বরে আড়ি পাতছে কেন্দ্র সরকার। এর মধ্যে ৪০ জন সাংবাদিক রয়েছেন। এমনকি এই তালিকা রয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন নম্বর। প্রতিবেদনে বলা হয় বেশিরভাগ আড়ি পাতা হয়েছে ২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই ফোনে আড়িপাতা চলছিল। ভারত ছাড়া বিশ্বের আর অন্য নয়টি দেশেই আড়িপাতা হয়েছে বলে প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। আর তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।