‘হিন্দুদের ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে থাকতে বাধ্য করা হয়’, যোগীকে সমর্থন সঞ্জয় রাউতের

শিবসেনার মুখপত্র সামনায় নিজের সাপ্তাহিক কলামে যোগী আদিত্যনাথের ঘোষিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পদক্ষেপকে সমর্থন জানালেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। এই পদক্ষেপের জন্যে যোদীকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত বলেও লেখেন সঞ্জয়। তবে তাঁর সতর্কবার্তা, এই বিল যেন শুধুমাত্র নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে না আনা হয়। তাঁর বক্তব্য, বিহারে এনডিএ শরিক নীতীশ কুমার এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর পরামর্শ, নীতীশের সরকার থেকে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করুক।

এদিকে নিজের কলামে সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর হিন্দুদের বাধ্য করা হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে থাকতে, তবে মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘এই মানুষরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বাসী নয়। তাদের স্বাধীনতার নীতি হল অনেক বিয়ে হবে এবং অনেক বাচ্চার জন্ম দেবে তারা। অবশ্য এরা অশিক্ষিত এবং বেকার।’ তিনি দাবি করেন, দেশের আট রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে বেআইনি অনুপ্রবেশের জেরে। অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের ডেমোগ্রাফিও বদলাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।

তবে এর মধ্যে বিজেপিকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি সঞ্জয়। তিনি লেখেন, ‘যে সকল হিন্দুত্ববাদীরা এককালে মুসলিমদের জনসংখ্যাকে টেক্কা দিতে চারটে-পাঁচটা করে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন, তাঁরাই এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল আনছেন। মুসলিমদের বাড়তে থাকা জনসংখ্যা রোধ করতেই এই পদক্ষেপ। উত্তরপ্রদেশের এই খসড়া বিল অবশ্য একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা উচিত। সবকিছুতে ধর্ম, জাত, রাজনীতি ঢোকানো উচিত না।’

এদিকে সঞ্জয় রাউত লেখেন, ‘উত্তরপ্রদেশে বিজেপি যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের এই নীতি লাগু করে তাহলে তো যোগীর দলেরই ১৬০ জন বিধায়ক এর অধীনে পড়বেন। লোকসভায় এই সংক্রান্ত একটি প্রাইভেট বিল উত্থাপন আলোচনার জন্যে করবেন সাংসদ রবি কিষাণ। তাঁর তো নিজেরই চারটে সন্তান। কী আর করা যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.