‘সব্যসাচী’তে তেমন আপত্তি নেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের৷ মণিরুল ইসলাম প্রশ্নে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিয়েছিল সঙ্ঘ৷ কিন্তু বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত যদি বিজেপি-তে আসেন, তবে তিনি বিজেপির ‘পলিটিক্যাল সিস্টেমে’ নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন বলে মনে করে সঙ্ঘ৷
সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে রাজারহাট-নিউটাউনে ইমারত-সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷ যদিও সে অভিযোগ প্রমাণিত নয়৷ সঙ্ঘের বক্তব্য, সব্যসাচীর ব্যাপারে তারা সবইটাই জানে৷ মণিরুল এবং সব্যসাচী আলাদা ব্যক্তিত্ব৷ দু’জনকে এক করা চলবে না৷ বিজেপির পলিটিক্যাল সিস্টেম সব্যসাচীকে দক্ষ নেতা তৈরি করতে পারে- মনে করে সঙ্ঘ৷
একসময় বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মণিরুল ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও বিজেপি তাকে দলে নিয়েছে৷ সেই সম্পর্কে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সঙ্ঘের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে৷ মণিরুলের উপর মূল অভিযোগ ছিল বীরভূমে সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন তিনি৷
বীরভূমে সঙ্ঘের এক সময়কার নেতা দুধকুমার মণ্ডলই সঙ্ঘকে মণিরুলের ব্যাপারে এই তথ্য দিয়েছিলেন৷ চুপচাপ বসে না থেকে সঙ্ঘ বিজেপি-কে তার আপত্তির কথা জানায়৷
সঙ্ঘের দক্ষিণবঙ্গের এক শীর্ষনেতা বলেন, ‘‘মণিরুল সঙ্ঘের লোকজনের উপর অন্যায় কাজ করেছে৷ প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থেকে করেছে৷ কিন্তু সব্যসাচীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খাটে না৷ সব্যসাচীর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে – তাবে তা বিজেপির ‘পলিটিক্যাল সিস্টেম’ ঠিক করে দেবে৷ তবে একথা তখনই প্রযোজ্য, যগি তিনি বিজেপি-তে আসেন৷’’
সঙ্ঘ মনে করে মণিরুলও দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে দলে এসেছে৷ সব্যসাচী যদি আসেন, তবে তিনি দিলীপর ঘোষের সভাপতিত্বেই আসবেন৷ ‘‘দিলীপ ঘোষ তো সভাপতি৷ সব্যসাচী যদি বিজেপিতে আসেন তবে ওর সভাপতিত্বেই আসবেন৷ সঙ্ঘের আপত্তি থাকলে, দিলীপকে আমরা প্রশ্ন তো করবই৷ আমাদের প্রশ্ন করার জায়গা রয়েছে৷’’