প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল পরিস্থিতি মুম্বইতে। এই পরিস্থিতিতে এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মুম্বইয়ের চেম্বুর এলাকায় পাঁচিল ভেঙে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একটি গাছ পড়ে গিয়ে বাড়ির দেওয়ালটি ভেঙে দেয় বলে জাননো হয়েছে বিএমসি-র তরফে। ঘটনায় আরও দুই জন আহত হয়েছে। ভিকরোলিতে অপর এক ঘটনায় আরও তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বইবাসীর সাহায্যে টোল ফ্রি নম্বর টুইট করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে।
জানা গিয়েছে এদিন পাঁচিল ভাঙার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছায় দমকল বাহিনী। দমকলকর্মীরা ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন ধ্বংসস্তূপ থেকে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এনডিআরএফ-এর দল আরও দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে সেখান থেকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপে আরও অনেকে এখনও আটকে রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, গতরাত ১২টা থেকে ভোর রাত ৩টে পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ হয় মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায়। আদিত্য ঠাকরে টুইট করে জানান, সান্তাক্রুজে ১৮১ মিলিমিটার, কোলাবায় ১৬৮.৫ মিলিমিটার, মহালক্ষ্মীতে ১৫০ মিলিমিটার, বান্দ্রায় ১৯১ মিলিমিটার, জুহুতে ১৭৭.৫ মিলিমিটার, রাম মন্দিরে ১৫০ মিলিমিটার, মীরা রোডে ১৩৫.৫ মিলিমিটার, দহিসারে ১৯৬.৫ মিলিমিটার এবং ভয়ন্দরে ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুর উপরে জল। ডুবে গিয়েছে রেল লাইন। এর ফলে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত জনজীবন। সড়কপথে যান চলাচলের গতি মন্থর। কমে লোকাল ট্রেনের গতিও। সিয়ন, বান্দ্রা, আন্ধেরি, সান্তাক্রুজের মতো বিভিন্ন এলাকা চলে যায় জলের তলায়। এর আগে শুক্রবার মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বইতে ২৫৩ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল।