কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দিল ইউরোপের আরও এক দেশ। অর্থাৎ সেরাম ইনস্টিটিউটের এই ভ্যাকসিন নিয়ে ইউরোপের সংশ্লিষ্ট দেশে প্রবেশ করা যাবে। শনিবার এই মর্মে ছাড়পত্র দিল ফ্রান্স। ইতিমধ্যে ইউরোপের আরও ১৫টি দেশ এই অনুমোদন দিয়েছিল। এবার সবমিলিয়ে ইউরোপের ১৬ দেশে ছাড়পত্র পেল COVISHIELD।
এ প্রসঙ্গে এদিন সেরামের প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, “এটা নিসন্দেহে সুখবর। কোভিশিল্ড টিকা নিলে এবার ইউরোপের ১৬টি দেশে প্রবেশ করা যাবে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া সত্ত্বেও এক এক দেশে এক একরকম নিয়ম মানতে হতে পারে।”
উল্লেখ্য, ইউরোপের বেলজিয়াম, অল্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, ইসটোনিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, লাটাভিয়া, নেদারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজ্যারল্যান্ড এবং আইল্যান্ডেও কোভিসিল্ডকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই খবরে অনেকটাই স্বস্তিতে কোভিশিল্ড গ্রাহকরা। EU’র ডিজিটাল ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে কোভিশিল্ডের নাম ওঠায়, সেই নথি সঙ্গে নিয়েই তাঁরা ইউরোপের ওই ১৬ দেশে যেতে পারবেন – বেড়াতে অথবা কাজের প্রয়োজনে।
প্রাথমিকভাবে কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র না দেওয়ায় টিকাগ্রহীতা বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে পালটা চাপ তৈরি করে ভারত। জানিয়ে দিয়েছিল, ইউরোপীয় দেশগুলি থেকে ভারতে (India) পা রাখলেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। EU’র ‘গ্রিন পাস’র তালিকায় কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনকে ঠাঁই না দেওয়ার পালটা হিসেবে তাদের উপর এই মর্মে চাপ তৈরি করেছিল ভারত। করোনা টিকা ইস্যুতে ভারতের সেই চাপের কাছে নতিস্বীকার করে EU। কোভিশিল্ডকে ‘গ্রিন পাসে’র ছাড়পত্র দেয় ইউরোপের ৮ দেশ। এবার সেই তালিকা আরও লম্বা হল।