এমন সাদর অভ্যর্থনা তো সাফল্য পাওয়ার পরেই হয়, কিন্তু টোকিও অলিম্পিকের উদেশ্যে অ্যাথলিটদের যা অভিবাদন জানানো হল, তা দারুণই বটে।
শনিবার রাতেই দিল্লি থেকে টোকিওর উদেশ্যে যাত্রা করলেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের প্রথম দল। সেই দলে রয়েছেন বাংলার দুই তারকা টিটি-র সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ও জিমনাস্ট প্রণতি নায়েক। দলের অগ্রভাগে দুই বঙ্গতনয়াকে দেখে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি দিল্লিবাসী বাঙালিরাও। তাঁরাও করতালি দিয়ে তাঁদের উৎসাহিত করেছেন।
এর আগে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। অলিম্পিকের জন্য পুরো দলকে যেভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে, তা অভূতপূর্ব। কারণ দিল্লির বিমানবন্দরে পাতা হয়েছিল লাল কার্পেট, বিমান কর্মীরা ছুঁড়েছেন ফুল, জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল পুরো চত্বর। একে একে ক্রীড়াবিদরা যখন টোকিওর বিমানে উঠছেন, সেইসময় সবাই হর্ষধ্বনি দিচ্ছিলেন। পদক নিয়ে ফিরলে এমন উল্লাস দেখা যায়। কিন্তু করোনা বিধির মধ্যেও এমন দৃশ্য সত্যিই কল্পনা করা যায় না।
এদিন যে দল রওনা হয়েছে, সেই দলটি অনেক বড়। তার মধ্যে টেবল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হকি, জুডো, জিমনাস্টিক্স, সাঁতার, ভারত্তোলকরা রয়েছেন। ক্রীড়াবিদদের বিদায় সম্ভাষণ জানাতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরসহ বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরাও। ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক, সাইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ প্রধান প্রমুখ।
এদিকে, টোকিও অলিম্পিকের আয়োজকরা জানিয়েছেন ভারতীয় শুটিং ও বক্সিং দলকে টোকিওতে কোয়ারেন্টিন পর্বে থাকতে হবে না। ভারতীয় বক্সিং দল ইতালি থেকে টোকিও পৌঁছবে। ক্রোয়েশিয়া ও ইতালি দুই দেশের করোনার নিয়মের জন্যই ছাড় পাচ্ছেন ভারতীয় শ্যুটার ও বক্সাররা। কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই সরাসরি অনুশীলনে নেমে পড়তে পারবেন তাঁরা।