একই সপ্তাহে দু’বার শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে হানা দিল সিআইডি’র প্রতিনিধিদল। প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে এবার ফের বিরোধী দলনেতার খাসতালুকে সিআইডি। শনিবার কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’–এর বিপরীতে অবস্থিত বাড়িতে যান তদন্তকারী দল। কারণ ওই বাড়িতেই থাকেন নিরাপত্তাররক্ষীরা। এমনকী আবাসস্থলের ভিডিওগ্রাফি করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা।
শুভব্রত চক্রবর্তীর পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন করে এফআইআর দায়ের হতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে সিআইডি। কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির পাশে যেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকতেন সেই ব্যারাকে যান তদন্তকারীরা। এরপর শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রী, দাদার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন সিআইডি অফিসাররা। আজ শান্তিকুঞ্জের উল্টোদিকে যেখানে দেহরক্ষীরা থাকেন সেখানে যান তদন্তকারীরা। শান্তিকুঞ্জ থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের আবাসনস্থলের দূরত্ব রীতিমতো মেপে দেখা হয়।
গত ১৪ জুলাই বুধবার প্রথম সেখানে যান সিআইডি আধিকারিকরা। আবার আজ গেলেন। ফলে স্নায়ুর চাপ বাড়ছে অধিকারী পরিবারের। শুভব্রত যে ঘরে থাকতেন সেখানেও তাঁরা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ওই বাড়িটি ঘুরে দেখেন। করা হয় গোটা পর্বের ভিডিওগ্রাফিও। তৈরি করা হয় একটি স্কেচও। সূত্রের খবর, সুস্পষ্ট নথি হাতে রাখতে এবং তদন্তের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তমলুকের মানিকতলা পুলিশ ব্যারাকে শুভব্রতর যে সহকর্মীরা ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর ‘শান্তিকুঞ্জ’–এর সামনে অবস্থিত নিরাপত্তারক্ষীদের ওই আবাসস্থলেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শুভেন্দুর তৎকালীন দেহরক্ষী শুভব্রত। পরের দিনই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার প্রায় আড়াই বছরের পর গত ৭ জুলাই শুভব্রতকে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা। তার ভিত্তিতেই তদন্তভার নিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। ছয়–সাত বছর এই দায়িত্বে থাকার পর কীভাবে আচমকা তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন? কেন তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে দেরি হল? উত্তর খুঁজছে সিআইডি।