টাকা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইসলাম, আর এটাই করে দেখালো চীন।
আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করতেই গোটা আফগানিস্তান এখন তালিবানদের হাতের মুঠোয়।তালিবানরা চায় পুরোপুরি শরীয়ত আইন চালু করে কট্টর ইসলামিক আফগানিস্তান গড়ে তুলতে।
কিন্তু যুদ্ধ বিধস্ত আফগানিস্তান কে বাঁচাতে গেলে চাই অর্থ, কে দেবে এই অর্থ ?
চিন্তা নেই , আছে চীন নামক গৌরী সেন। আমেরিকা আফগানিস্থান থেকে মুখ ফেরাতেই আফগানিস্তানে পা বাড়িয়ে দিলো চীন ও ওই দেশকে সাদর আমন্ত্রণ জানালো তালিবান।
তালিবান ভালোমতোই জানে দশকের পর দশক ধরে কি নির্মম অত্যাচারই না চীন করেছে তাদেরই অর্থাৎ তালিবানদেরই জাত ভাই ইউঘুর মুসলিমদের উপর। রাষ্ট্র সংঘের সরকারি হিসাব বলছে চিনদের হাতে মারা গেছে কয়েক লক্ষ উইঘুর মুসলিম এবং আর আরো কয়েক লক্ষ আছে ডিটেনশন ক্যাম্পে।
চীনে ইসলাম নিষিদ্ধ হয়েছে বহু বছর। ওই দেশে কোরান পড়লে , দাড়ি রাখলে , নামাজ পড়লে , বোরখা পড়লে প্রকাশ্যে শাস্তি দেয় চীন সরকার এবং তার সাথে হাজতবাস নিশ্চিত, অথচ এই সব কিছু জেনেও ও বুঝেও চীনকে আপন করে নিলো তালিবান।
তারা সাফ জানালো আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে চীন ও ওই কমিউনিস্ট দেশের শত্রু উইঘুর মুসলিম , যারা ” ইসলামের নামে বিব্রত করছে বন্ধু চীনকে “।
আর তাই উইঘুর মুসলিমদের ঘোষিত ‘শত্রু’ বলে চিহ্নিত করে চীনকে উদার হস্তে আফগানিস্তানে বিনিয়োগের আহ্বান করলো খোদ কট্টর ইসলামী তালিবান।