মুসলিম বহুল বাংলাদেশে যা হচ্ছে, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ট পশ্চিমবঙ্গে ও ঘটছে একই ঘটনা। দুই বাংলায় একই ধরণের ঘটনার পেছনে যোগসূত্র নেই তো?
তাহলে হিন্দু উৎপীড়নের ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করাই কি উদ্দেশ্য?
বাংলাদেশের হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে হিন্দুদের অর্ডার করা মুরগি, পাঁঠার মাংস এবং চিংড়ি মাছের তরকারিতে পর্যন্ত গরুর মাংস মিশিয়ে দেয়া হয়, কিন্তু এবার অনেকটা তার প্রতিফলন ঘটলো খোদ কলকাতায়।
কিন্তু খোদ কলকাতার বুকে হালাল মাংসের জন্য প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তি। জয় খান্না নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্ট এখন ভাইরাল।
তিনি জানান, এক প্লেট চিকেন স্টু ও দুটো পরোটা জোম্যাটো থেকে অর্ডার করেছিলেন কিন্তু তাঁকে দেয়া হয় এক প্লেট গোরুর মাংস ও দুটো পরোটা । তিনি অজান্তে খাওয়ার পর বুঝতে পারেন হাড়গুলো মুরগীর মতো নয়।.
সঙ্গে সঙ্গে তিনি জোম্যাটো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান, কিন্তু ডেলিভারি বয়ের জেনে বুঝে উদ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে জয়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা অথবা কার্তব্যহীনতা যাই হোক না কেন সেই বিষয়টিকে আড়াল করে ওই খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা।.
শুধু আশ্বাস দিয়েছে পরবর্তী অর্ডারের সময় ৭৫ টাকা ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু আশানুরূপ উত্তর না পেয়ে জয় অসন্তুষ্ট হন এবং স্থানীয় থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করতে চান বলে ফেসবুক পোস্টে জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, এই পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত কুরুচিকর এবং উদ্যেশ্যপ্রণোদিত।
ফেসবুকে পোস্ট করার একটাই উদ্দেশ্য ভবিষ্যতে যেন কেউ এরকম প্রতারণার শিকার না হয় এবং গরুর মাংস খাইয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার সাহস যেন কেউ না করে।
কিন্তু এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা খুব ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য গরুর মাংস ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা গোপনে হিন্দুদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন।