ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডবের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ভাটপাড়াতে।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির পাশে বিজেপি সমর্থকদের দোকান ও বাড়ি ভাঙ্গচুর করল
একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
গতকালই জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন তার রিপোর্ট পেস করে এই সমস্ত এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার নিন্দা করেছেন। আর তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই একই ছবি ধরা পড়ল। গতকাল ভাটপাড়াতে অর্জুন সিংয়ের সাথে বৈঠক করতে এসেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্যে আইনের অনুশাসন নেই। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যে হয়ে চলা হিংসা নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে পর্যন্ত ভোটের ফল পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের নিন্দা করা হয়েছে। কারণ ভোটের পর থেকে বিজেপি কর্মীদের অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। পুলিশ পর্যন্ত দল দাসে পরিণত হয়ে সরকারের হয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি চলেছে। “এমন কি শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, যে আগামী দিনে রাজ্যে চলতে থাকা সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর ভাটপাড়াতে এসে ঘুরে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ফের ঘটে গেল রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা।
প্রকাশ্য দিবালোকে দোকান বাড়ি ভাঙ্গচুরের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীরা। দুষ্কৃতী তাণ্ডবের খবর পুলিশের কাছে পৌঁছাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এসিপি সুব্রত মন্ডলের নেতৃত্বে জগদ্দল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
যাদের বাড়ি ও দোকান এদিন ভাঙ্গচুর করা হয় তাদের পরিবারের অভিযোগ, হঠাৎই ১০ -১২ জন স্থানীয় দুষ্কৃতী নমিত সিং, অমিত সিং, প্রকাশ সিং এসে তাদের বাড়ির ছেলের খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে ওই দুষ্কৃতীরা। দোকানের মালপত্র, আসবাব ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে দেয়। তাদের হাতে লাঠি ও রড ছিল বলে অভিযোগ। যাদের দোকান ভাঙ্গচুর করা হয়েছে তারা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বলেন, পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীরা পুলিশ তাদের কি করবে বলে ভাঙ্গচুর করে চলে যায়। দিনের বেলায় জনবহুল এলাকায় পুলিশের নিস্ক্রীয়তায় হতবাক এলাকাবাসী। এই গোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফে কিছু বলতে চায়নি।