মালদায় অপহরণ হয়েছিল দুই মেয়ে ও এক গৃহবধূর। এঁদের অপহরণ করে মুক্তিপণও চাওয়া হয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগের তীর গেছে অপহৃত মহিলাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। অপহৃতের বাড়ির সদস্যদের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও করা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এক ব্যক্তি, যিনি মূলত মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। মালদায় এসে জমি কেনেন। তিনি মালদায় অবস্থিত মোথাবাড়ি এলাকায় পৈতৃক গ্রামে নিজের নাবালক পুত্রের নামে জমি কিনে নেন। ২০১৯ সালে ওই ব্যক্তি মারা যান। উক্ত ব্যক্তি যে বছর মারা যান, সেই বছরেই মৃতের স্ত্রী পাড়ার এক প্রতিবেশীর নিকট ৪ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীকালে, ঋণদাতা ওই ব্যক্তি প্রদত্ত ঋণের বিনিময়ে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। উল্লেখ্য, এই শর্তে রাজি হননি ঋণগ্রহীতার গৃহবধূ। ফলত, মামলা আদালত পর্যন্ত যায়। ১১ মে তারিখে এই মামলার শুনানি ছিল আদালতে।
এদিকে, অভিযোগ করা হয়েছে যে, আদালতে যাওয়ার পথেই ঋণগ্রহীতার স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ে অপহৃত হন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে যে, তাঁদেরকে অপহরণ করে প্রায় ১১ দিন বন্দী করে রাখা হয়েছিল। ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পাওয়ার পরেই তাঁদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছেন ঋণগ্রহীতার গৃহবধূ। জানা গেছে, গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে শুরুতে মোথাবাড়ি ও ইংরেজবাজার থানার মধ্যে কোন থানায় অভিযোগ দায়ের হবে সেই নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে, আদালতের হস্তক্ষেপে ইংরেজবাজার থানায় ঋণগ্রহীতার গৃহবধূর তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপাতত জানা গেছে যে, অভিযুক্ত ঋণদাতা ইতিমধ্যে পালিয়ে গেছে।
2021-07-15