ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এবার আরও তৎপরতা দেখালো লালবাজার। এই কাণ্ডকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমে লালবাজার পুলিশের তরফে কলকাতা পুরসভাকে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হয়েছে। এদিকে, জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে মুখ্যমন্ত্রী খোদ জানিয়েছিলেন যে, এই ঘটনার দায় পুরসভা পুরোপুরি হাত ঝেড়ে এড়িয়ে যেতে পারে না। পুরসভার উপরে এই ধরণের চাপ সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ হল তালতলায় রবীন্দ্র-মূর্তির ফলকে দেবাঞ্জনের নাম ও একই সঙ্গে প্রথম সারির পুরকর্তাদের নাম। এবার, লালবাজার পুলিশের তরফে করা ওই বিশেষ ৫টি প্রশ্ন পুরসভার ওপরে আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
লালবাজার পুলিশের তরফে যে প্রশ্নগুলি করা করা হয়েছে, সেগুলি হল-
প্রথম প্রশ্ন, ভুয়ো আধিকারিক দেবাঞ্জন দেবকে কি পুরসভা কোনও পরিচয়পত্র দিয়েছিল? কলকাতা পুরসভার কর্মী হিসেবে অথবা যুগ্ম কমিশনার হিসেবে কোনও কার্ড কি ইস্যু করা হয়েছিল?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, ‘পুরশ্রী বিবর্ধন’ যে লোগোটি কলকাতা পুরসভা ব্যবহার করে, সেই হলোগ্রাম কি কোনও ভাবে দেবাঞ্জন দেব বা পুরসভার কর্মী বাদে অন্য কারোর হাতে গিয়েছিল?
তৃতীয় প্রশ্ন, কসবার শান্তিপল্লীতে কলকাতা পুরসভার কি কোনও স্পোর্টস অ্যাকাডেমির অফিস রয়েছে? সেই স্পোর্টস অ্যাকাডেমির নামে কি কোনও লেটার প্যাডের ব্যবহার করত কলকাতা পুরসভা?
চতুর্থ প্রশ্ন, ইন্ডিয়ান এক্সচেঞ্জ প্লেসের যে ঠিকানা থেকে দেবাঞ্জন দেব পুরসভার হলোগ্রাম পেয়েছিল, সেখানে কলকাতা পুরসভা কি কোনও ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছিল?
পঞ্চম প্রশ্ন, শরণ্যা আঢ্য নামে কলকাতা পুরসভার কি কোনও কর্মী রয়েছে? এই নামে কাউকে কোনও পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল?
লালবাজার পুলিশের তরফে এই সমস্ত প্রশ্নই একটি চিঠিতে সাজিয়ে কলকাতা পুরসভার কমিশনার ও বিশেষ কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং জবাব তলব করা হয়েছে।