ঠিক যখন আসামে গো-হত্যা বন্ধ করার জন্য উঠে পরে লেগেছে আসামের বিজেপি সরকার, ঠিক তখনই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যাচ্ছে এই বিষয়ে সরকারের উদাসীনতা এমনটাই অভিযোগ শান্তনু সিংহের । আসামে গো-হত্যা বন্ধ করার জন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার পদক্ষেপকে এক ‘সাহসী অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে জেহাদি শক্তির আস্ফালন নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
দুই রাজ্যের পরিস্থিতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ টেনে সিংহ বলেন আসামে এককালে বাঙালি বিদ্বেষ থাকলেও এখন অসমীয়া সমাজ বুঝে গেছে বাঙালিরা তো হিন্দু সুতরাং বাঙালি থেকে ভয়ের কিছু নেই এবং ভয়ের কারণ অনুপ্রবেশকারী ও ভারত বিদ্বেষী মুসলিমরা।
সিংহ বলেন উদ্বেগের কারণ পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের সার্বিক পরিস্থিতি এবং উদাসীনতা।
“অসমীয়া হিন্দুরা তো দেখিয়ে দিয়েছে ওঁরা কি চান, অথচ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আসামের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গের চাইতেও খারাপ অবস্থা ছিল আসামে। বিশেষ কোনো অতি প্রাকৃতিক শক্তিতে ভর করে বা দৈববলে বলীয়ান হয়ে যে আসামের অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র হিন্দুদের সমষ্টিগত ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মেনেছে জেহাদি শক্তি। আরবের টাকায় ফুলে ফেঁপে ওঠা বদরুদ্দীন আজমল সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে।”
তিনি আরো বলেন পশ্চিমবঙ্গে ঠিক তার উল্টো চিত্র, কারণ হিন্দুরা উদাসীন যার জন্য জেহাদি শক্তি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং তাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি নিয়ে আস্ফালন করছে।
“কোনো সভ্য দেশে দেখা যায় না যাত্র তত্র গরু জবাই করতে। জর্ডনের মতো দেশ যা আগে খ্রীষ্টান দেশ ছিল এবং পরে ইসলামীয় অভুত্থান হয়, সেই দেশেও একটি মুরগি পর্যন্ত স্লটার হাউসে কাটা হয়। প্রশাসনের সম্মতি ছাড়া পশুহত্যা নিষিদ্ধ সেখানে। ওই মুসলিম দেশে হলে ভারতে কেন গো-হত্যা নিষিদ্ধ হবে না?” প্রশ্ন তোলেন শান্তনুবাবু।
তিনি আরো বলেন, “ঈদের সময় গলা কাটা গরু, রক্ত। খুব মর্মান্তিক দৃশ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এটা সভ্যতার অগ্রগতির যুগ, মধ্যযুগীয় প্রথা আঁকড়ে ধরে থাকার মানে হয়? সভ্য দেশের প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। শুধু আসামে কেন? পশ্চিমবঙ্গে কি হিন্দু নেই? পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র অবিলম্বে গো-হত্যা বন্ধ করা হোক”।
সংহতি সংবাদ