মোদী-ধোনি জুটি, ঝাড়খণ্ডে ঝড় তুলতে টিম সাজাচ্ছে বিজেপি

মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভরসা এবার ভারতীয় জনতা পার্টির ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। বিশ্বকাপ শেষ হলেই ক্যাপ্টেন কুল বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা। আর সেটা হয়ে গেলেই আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ঝড় তুলতে মোদী-ধোনি জুটি ভোটের ময়দানে নামতে পারেন। এমন জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে সম্প্রতি। ধোনি এখনও অবসর নিয়ে কিছু না বললেও সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে আইসিসির সাম্প্রতিক একটি টুইট।

বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দল এক রকম অপ্রতিরোধ্য। শীর্ষে থেকে গ্রুপের খেলা শেষ করেছে। আগামী মঙ্গলবার সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ড এর সঙ্গে মোকাবিলা। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিতে পারলে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া অথবা আয়োজক দল ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টিম ইন্ডিয়া। তার মধ্যেই ধোনির রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল আলোচনা।

ধোনির সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই শুরু হয়। সেই সময়ে আর এক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর বিজেপিতে যোগ দেন এবং তিনি এখন পূর্ব দিল্লি আসন থেকে সাংসদ। গৌতমের বিজেপিতে যোগদানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন গেরুয়া বাহিনীর নেতা মনোজ তিওয়ারি। ধোনির ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা মনোজের। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাঁচিতে ধোনির বাড়িতে গিয়েছিলেন গত বছর অগস্টে। এক বছর আগের সেই সফর ছিল বিজেপির সম্পর্ক-অভিযানের অঙ্গ। এবার সরাসরি বিজেপিতে যাতে ধোনি যোগ দেন তার প্রস্তুতি চলছে।

কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়ে কি ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে মুখ হবেন মহেন্দ্র সিং? তিনি কি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন নাকি শুধুই প্রচারে অংশ নেবেন সেটা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধোনির যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে ডিভিডেন্ড পেতে চায় গেরুয়া বাহিনী। এমনিতে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন ডিসেম্বরে হওয়ার কথা। তবে মনে করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার সঙ্গে একসঙ্গে অক্টোবরেও এগিয়ে আনা হতে পারে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন। তাই সময় নষ্ট না করে বিশ্বকাপ শেষ হলেই ধোনির সঙ্গে খোলাখুলি যোগাযোগ শুরু হতে পারে।

বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ধোনি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। তবে ক্রিকেট থেকে অবসরের পরেই তিনি রাজনীতিতে আসবেন তিনি। ধোনি নিজেই জানাবেন, তিনি কবে রাজনীতিতে যোগ দেবেন। কিন্তু কেন বিজেপি? ওই নেতার দাবি, জাতীয়তাবাদী দল হিসেবে তিনি বিজেপিকেই পছন্দ করেন ক্যাপ্টেন কুল। তাছাড়া নরেন্দ্র মোদীর কাজের প্রতিও তাঁর সম্মান ও সমর্থন রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.