সাত বছর আগের কথা। মাত্র ১৬ বছরের বয়সে এআইএফএফ এলিট অ্যাকাডেমি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমন সময় দোহার অ্যাসপায়ার অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পেলেন। সেখান থেকে তাঁর গন্তব্য হল সোজা ন্যু ক্যাম্পে। বার্সেলোনার জুনিয়র দলের সঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিলেন মণিপুরের বিদ্যানন্দ সিং। সেই বিদ্যানন্দই এবার সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে তুলে নিচ্ছেন। দলবদলের বাজারে এটা একটা বড় চমক দিল এটিকে মোহনবাগান। লিওনেল মেসির বার্সেলোনাতে ট্রায়াল দেওয়া ফুটবলার এ বার সবুজ-মেরুনে। এর ফলে নিজেদের রক্ষণকে আরও মজবুত করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কলকাতা লিগে থেকেই দেখা যাবে ২৩ বছরের বিদ্যানন্দ সিংকে।
বিদ্যা হলেন ভারতের প্রথম জুনিয়র খেলোয়াড় যিনি দোহাতে গিয়ে ‘অল স্টার একাদশ’-এর হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সে বার আয়াক্সের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছিল ‘অল স্টার একাদশ’। একটি গোল বিদ্যার পা থেকে এসেছিল। তবে বিদ্যাকে বার্সায় সকলে হন্ডা নামেই চেনেন। যেই সময় বিদ্যানন্দ বার্সায় গিয়েছিলেন সেই সময় এসি মিলানে দাপটের সঙ্গে খেলছেন জাপানের মিডফিল্ডার ‘কেউসুকে হন্ডা’। বার্সেলোনার স্পটাররা ‘বিদ্যা’ নামটা উচ্চারণ করতে পারতেন না। সেই কারণেই ট্রায়ালে তারা এই মণিপুরীকে ‘হন্ডা’ নামেই ডাকতেন।
মণিপুরের মইরাং গ্রামে বেড়ে ওঠা বিদ্যা মাত্র ১১ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছিলেন। মণিপুরের মইরাং গ্রাম থেকে সেখানের সাই (স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) -এর দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন না। তবুও ফুটবলকে ভালবেসে কষ্ট সহ্য করেছেন বিদ্যা। তবে বর্তমানে চোট-আঘাতের জন্য তাঁর কেরিয়ারের পূর্ণ বিকাশ হয়নি। চোটের জন্যই এর আগে এটিকে, বেঙ্গালুরু এফসি বি, মুম্বই সিটি দলে ও তেমন সুযোগ পায়নি। এখন দেখার বার্সার ভারতীয় হন্ডা সবুজ মেরুন জার্সিতে কতটা সফল হন।