উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মামলাকারীরা। বিচারপতি বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন তাঁরা। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে। মামলাকারীদের দাবি, মামলাকারীদের হলফনামা গ্রহণ না করেই মামলার রায় দিয়েছেন বিচারক। কমিশনের প্রকাশিত নতুন তালিকাতেও একাধিক অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিন মামলাকারী রাজীব ব্রহ্মের আইনজীবী বলেন, গত বৃহস্পতিবার উচ্চ প্রাথমিকের নতুন ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশিত হয়। তা খতিয়ে দেখে একাধিক বেনিয়ম চোখে পড়ে। সে সবের উল্লেখ করে আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা দেওয়া হয় মামলাকারীর তরফে। কিন্তু শুক্রবার মামলার শুনানিতে সেই হলফনামা গ্রহণ না করেই রায় শোনান বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁদের অভিযোগ, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে ভৌত বিজ্ঞানের তালিকায় বহু বেনিয়ম রয়েছে। তার পরও মামলাকারীদের হলফনামা গ্রহণ না করে তালিকায় সন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি। এমনকী নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর থেকে স্থগিতাদেশও তুলে নিলেন।
বলে রাখি, আদালতের ভর্ৎসনার মুখে গত বৃহস্পতিবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে নম্বরসহ যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর পর শুক্রবার ওই মামলার শুনানি আদালত নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। সঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দেন, তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা SSC-কে জানাতে হবে ২ সপ্তাহের মধ্যে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে সেই অভিযোগগুলির তদন্ত করে সিদ্ধান্ত জানাবে SSC-র সচিব পর্যায়ের কোনও আধিকারিক। সেই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা।
মামলাকারীদের দাবি, বার বার স্কুল সার্ভিস কমিশন ভুল করছে। আর আমরা সেই ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। অনেকের মতে আবার যে কমিশনকে আদালত ‘অপদার্থ’ বলে দিয়েছে তার আবার নতুন করে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার কী আছে?