বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডা কওসরের অন্যতম ঘনিষ্ঠ নাসির হুসেন ওরফে পাতলা আনাসকে মঙ্গলবারই পাকড়াও করেছিল পুলিশ। জানা গিয়েছিল, ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে নাসিরকে। বুধবার আদালতে তোলা হয় অভিযুক্ত নাসিরকে। তাকে ১২ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে ধৃত জেএমবি জঙ্গি নাসির মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। পড়াশোনা শেষ করার আগেই সে যোগ দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিল কওসর। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল তার অন্যতম ঘনিষ্ঠ নাসির। গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল সম্ভবত ত্রিপুরাতেই লুকিয়ে রয়েছে সে। এই খবরের সূত্রে ধরেই ত্রিপুরা পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল। ধরা পড়ে নাসির।
২০১৪ সালে গান্ধী জয়ন্তীর দিন বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। একটি বাড়ির দোতলায় জামাত জঙ্গিদের ঘাঁটিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রথমে অবিভক্ত বর্ধমান পুলিশের তরফে বলা হয় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু পরে পরিষ্কার হয় সিলিন্ডার নয়, আরডিএক্স ফেটেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণের মূল চক্রী ছিল কওসর। আর এই কওসরের কাছেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল নাসির। এমনকী বিস্ফোরক বানানোর কাজ কওসরের কাছেই নাসির শিখেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই কলকাতার পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছিল দুই জেএমবি জঙ্গিকে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ। এই দু’জনের পর ফের পুলিশের জালে পাকড়াও হলো খাগরাগড় বিস্ফোরণে জড়িত আর এক জেএমবি জঙ্গি নাসির।