মাদক পাচারে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ বড় সাফল্য পেল। একটি চা বোঝাই লড়ি থেকে উদ্ধার ৩০২ কেজি গাঁজা। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা। গাঁজা পাচারের অভিযোগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি। চা বোঝাই লড়িটিকে আটক করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুমিত কুমার জানিয়েছেন, গত ৮ জুলাই রায়গঞ্জ শিলিগুড়ি মোড় থেকে আন্তঃ জেলা মাদক পাচারের অভিযোগে নয়ন দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২৩ কেজি গাঁজা। ধৃত নয়ন দাস পুলিশের কাছে স্বীকার করেছিল গাঁজা গুলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হিলিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার ঠিক দু’দিনের মাথায় গতকাল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার বারোদূয়ারী এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি চো বোঝাই লড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেই চা ব্যাগের নীচেই গাঁজা গুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। লরির চালক এবং খালাসি পলাতক। পুলিশ লরিটিকে আটক করেছে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছে, কোচবিহার থেকে লড়িতে এই গাঁজা গুলো লরিতে লোড হয়েছিল। কারা এই মাদক পাচারে যুক্ত তা খতিয়ে দেখতে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ এবং একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে। পুলিশ মাদক পাচারে নিদৃষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছেন। এর আগে এই বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার হয়নি। এই বিপুল পরিমান গাঁজা উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ বিরাট সাফল্য মিলেছে। মাদক পাচারে কারা যুক্ত আছেন তা জানতে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং গোয়েন্দা বিভাগকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে সুমিত কুমার জানিয়েছেন।
যারা এই পাচারে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে পুরো চাইকে গ্রেফতার করা হবে বলে সুমিত কুমার আশ্বাস দিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকায় জাল বিদেশী মদের কারখানা গড়ে উঠেছে।আর রায়গঞ্জ পুলিশ জেলায় একের পর এক গাঁজা উদ্ধার হওয়ায় দুই পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকদের বেশ খানিকটা বিপাকে ফেলছে বলে মনে করছে সাধারন মানুষ।