ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই নেমেছিল ভারত। বল হাতে শুরুটাও দারুণভাবে করে ভারতীয় দল। তবে এই ম্যাচে জয় পরাজয়কে ছাপিয়ে উর্ধ্বে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে হার্লিন দেওয়লের এক দুর্ধর্ষ ক্যাচ।
ম্যাচের ১৯ নম্বর ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করা হার্লিন আগ্রাসী ভঙ্গিমায় ব্যাট করা অ্যামি জোন্সের ক্যাচ নিয়ে তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান। বর্তমানে বাউন্ডারির ধারে থাকা ফিল্ডাররা বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বল হাওয়ায় ছুড়ে দিয়ে আবার বাউন্ডারির ভেতরে এসে আকছার ক্যাচ ধরেন। সেই প্রয়াশেই ছিলেন বছর ২৩-এর ভারতীয় ক্রিকেটার। তবে বল তাঁর আশার থেকে একটু দূরে থাকায় সম্পূর্ণ হাওয়ায় নিজের শরীরকে ভাসিয়ে দিয়ে পুনরায় বলটি ধরেন হার্লিন।
তাঁর ক্যাচে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায় নেটপাড়ায়। ক্রিকেটার, সমর্থক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই হার্লিনের ক্যাচে অভিভূত। কেউ ক্যাচটিকে এবারের ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মের সেরা ক্যাচ বলছেন, তো আবার নিউজিল্যান্ডে রবীন্দ্র জাদেজার নেওয়া নীল ওয়াগনারের ক্যাচের সঙ্গে এর তুলনা করছেন।
হার্লিনের দুরন্ত ক্যাচ অভিবাদন কুড়িয়ে নেয় বাউন্ডারির কাছে বসে থাকা ইংল্যান্ডের পরিবর্থ বেঞ্চের ক্রিকেটারদেরও। যার বলে এই ক্যাচটি ধরে তাঁকে উইকেট তুলে নিতে সাহায্য করেন, সেই শিখা পান্ডে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আমরা আজ থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম এই ধরনের ক্যাচকে হার্লিন ক্যাচই বলা হবে। দুধুর্ষ!’ দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে উপস্থিত না থাকলেও বেদা কৃষ্ণমূর্তীও হার্লিনের ক্যাচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।