দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন নন্দীগ্রামে তুমুল হট্টগোল হয়। আর সেই কারণে নন্দীগ্রামের বয়ালের একটি বুথে গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বয়ালের গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে হাইকোর্টে গিয়েছিল তৃণমূল সরকার। তবে সেখানে জোর ঝটকা খায় তাঁরা।
বয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পবিত্র করের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিডিও সাহেব। এরপরই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। তিনি বিডিও দ্বারা জারি করা ওই নোটিশকে অনৈতিক এবং অর্থহীন বলে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বিডিও দ্বারা জারি করা নোটিশকে খারিজ করে দেন।
উল্লেখ্য, পবিত্র কর ২০১৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে বয়াল ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। যদিও, নির্বাচনের আগে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন আর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে যায়। দুর্ভাগ্যক্রমে বিজেপি একুশের নির্বাচনে জয়ী হতে পারেনি। আর এরপরই তৃণমূল কংগ্রেস ওই পঞ্চায়েত পুনরদ্ধারের কাজে নেমে পড়ে।
গত ২৮ মে বিডিও-র তরফ থেকে নোটিশ জারি করে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। এরপরই পবিত্র কর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আইন মাফিক এ ধরণের নোটিশ বিজেপির নেতার বাড়ি অথবা অফিসে দিতে হত, কিন্তু সে ক্ষেত্রে তা হয়নি। এছাড়াও কোভিড পরিস্থিতিতে বৈঠক ডেকে রাজ্যের আইন লঙ্ঘন করেছেন বিডিও, এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতার।
অন্যদিকে, রাজ্যের দাবি ছিল যে, পবিত্রবাবুকে অফিসে পাওয়া যায়নি তাই ওনাকে সেখানে নোটিশ দেওয়া হয়নি। এরপর বয়াল ১ নং পঞ্চায়েতের ১০ জন সদস্যের মধ্যে ভোটাভুটি হলে ৮ জনই পবিত্রবাবুর বিরুদ্ধে ভোট দেন। সেই কারণে পবিত্রবাবুর ওই পদে বসে থাকা অনৈতিক। যদিও, রাজ্যের সেই যুক্তি মানতে নারাজ কোর্ট। আর এই কারণে নোটিশ খারিজ করা হয়েছে। আপাতত নিজের পদেই বসে থাকতে পারবেন পবিত্রবাবু।