“মতুয়াদের নাগরিকত্বও দেওয়া হবে”, বললেন দিলীপ ঘোষ

মতুয়াদের সম্মান জানাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শান্তনু ঠাকুরকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আমরা মতুয়াদের সম্মান করি এবং বিশ্বাস করি, এদের নাগরিকত্ব দেব। মতুয়াদের খুশি করার জন্য যদি এটা করেই থাকি তাহলে অন্যদের আপত্তির কি আছে? মতুয়াদের জন্য এত বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করেননি কেন? সিএএ রাজ্যে লাগু করতে মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা দরকার। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এক দলীয় সাংগঠনিক সভায় এসে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি ফের দলবিরোধী কথাবার্তা বলা নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তাঁর দাবি, দল হেরেছে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা বিশ্বাস করেন তাদের সমস্যা। অনেকে অনেক কিছু কল্পনা করে দলে ঢুকে নিজেদের আখের গোছাতে এসেছিলেন, তা হয়নি। অন্য গাছের ছাল লাগিয়েছিলাম খুলে পড়ে গিয়েছে। আমরা ২৬ গুণ শক্তি বাড়িয়েছি। বাকি লড়াই আগামী পাঁচ বছরে করবো। যারা পার্টিকে এখনও বুঝে উঠতে পারেননি তাদের সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এই নির্বাচনে বুথে লড়াই হবে। ভোটের আগে বহু আকাঙ্খা নিয়ে যারা দলে আখের গোছাতে এসেছিল তাঁরাই ভুল বকছেন। দল সবার বক্তব্যের দিকে নজর রাখছে। শৃঙ্খলাভঙ্গের স্তরে পৌছালেই দল সঠিক ব্যবস্থা নেবে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বা সব্যসাচী দত্তের নাম না করে তিনি এই কথা বলেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয় নয় বরং সাফল্য দেখছেন তিনি। এবার বুথ স্তরের সংগঠনকে জোরালো করে পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের দিকে এগোতে চাইছেন।

তিনি বলেন, মূলত এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের অনেকগুলি আসনেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। বিজেপির আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকাংশ। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে রাজ্য সভাপতি বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে এবং সাংগঠনিক নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.