দুর্গাপুর প্রোজেক্টস লিমিটেডের জমি বিক্রির জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কাগজপত্রও প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। বৈঠক করেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পূর্ত ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর বিরুদ্ধেই এবার প্রতিবাদ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু বলেন, ডিপিএলের জমি, হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস শেয়ার সব বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আর আপনারা বলছেন কেন্দ্র সরকার সব বেচে দিচ্ছে।
অর্থ বিলের মধ্যে দিয়ে রাজস্ব আদায়ের ত্রুটি তুলে ধরার কথাও বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কথায়, রাজস্বের ফাঁকফোকর আটকাতে পারলেই উন্নয়নে সুবিধা হবে। আমাদের কাজ সেগুলো তুলে ধরা। দফায় দফায় করোনা সংক্রমণ আর লকডাউনের কারণে রাজ্যের কর্মসংস্থান, জিডিপির বৃদ্ধি সব থমকে গিয়েছে। পরিবহণ আর শিল্প ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালে রাজ্যের মাথায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা ছিল। তা এখন ৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দিন দিন রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও শোচনীয় হচ্ছে। সেদিকেই নজর দেওয়ার কথা এদিন বলেছেন বিরোধী দলনেতা।
রাজ্য সরকারের একটি সূত্রের বক্তব্য, গত এক দশক ধরে প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে ডিপিএলের। এই ২ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে এবং সংস্থাটিকে অক্সিজেন জোগাতে জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রকল্পটির বেশ কয়েকটি ইউনিট বন্ধ। নবান্ন কর্তাদের দাবি একজন কর্মীরও চাকরি যায়নি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভর্তুকি দিয়ে প্রকল্প চালানো সম্ভব নয়। প্রথম পর্বে ২০০ একর জমি বিক্রি করবে রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকারের এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি অর্থনৈতিক ভাবে ধুঁকছে। এবার তার পুনরুজ্জীবনের জন্যই এই উদ্যোগ বলে দাবি করা হচ্ছে নবান্ন সূত্রে।