সৈয়দ আবদুল্লা ফারুকির নাম শুনেছেন ?

সত্যি সত্যিই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একজন সাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। বাঙালি হিন্দু তো একটি সম্প্রদায়, তার জন্য আপনি ভাববেন তো আপনাকে সাম্প্রদায়িক ভাবা হবে না । আশ্চর্য তো।
আসল অসাম্প্রদায়িক মানুষ দেখতে চান। আসুন একটু খুঁজে নি।
সৈয়দ আবদুল্লা ফারুকির নাম শুনেছেন ? সেই 1946 সালের অগাস্ট মাসে যে একটু আধটু রক্ত কলকাতা দেখেছিল । সে সময় মেটিয়াবুরুজের লিচুবাগান অঞ্চলের কেসোরাম কটন মিলের হিন্দু-ওড়িয়া শ্রমিকরা হিংসার শিকার হয়। মুসলিম লীগকে দায়ী করা হয় এই ঘটনার জন্য। কিন্তু কম্যুনিস্ট পার্টির কিছু হিন্দু মুসলিম স্থানীয় সদস্য মিলিত ভাবে একটি চিঠি পাঠান তদনীন্তন পার্টির সর্বোচ্চ নেতা পি সি যোশীর কাছে। চিঠিতে অভিযোগ ছিল সৈয়দ আবদুল্লা ফারুকি ,যিনি কম্যুনিস্ট পার্টির স্থানীয় নেতা , তিনি নিজেই মুসলিম লীগের গাড়িতে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং হিংসায় প্ররোচিত করেছেন।

কিন্তু কি ফলাফল দেখা গেল এই হিন্দু মুসলমানের মিলিত চিঠির। পার্টি তদন্ত করে দেখল এবং ফারুকির ভুমিকা প্রশংসিত হল , সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় তার অবদান স্বীকৃত হল। তাহলে কি দাড়াল? হিন্দু মুসলমান শ্রমিক সদস্যদের মিলিত অভিযোগ অগ্রাহ্য করে ফারুকী সাহেবের প্রতিপত্তি বজায় রাখা হল। দুই সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠেই না ফারুকি সাহেবের সম্মান রক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্ত,কি বলেন?

আনন্দ সংবাদ , পরবর্তীকালে ফারুকি সাহেব এম এল এ নির্বাচিত হন তার ওই মহান অসাম্প্রদায়িক কৃতিত্বের পুরস্কারস্বরুপ। এ টুকু না হলে কি সত্যিই কি ওই মাপের একজন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পথিকৃৎকে সম্মান জানানো যায়।
এই উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনা কিন্তু সব আই বি ফাইলে ধরা আছে। চিন্তা করবেন না।

সুমন দেবরায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.