বুধবার মোদীর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বাংলা থেকে চারজন সাংসদদের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং আলিপুর দুয়ারের সাংসদ জন বার্লা কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন। তবে এই চারজন সাংসদের তুলনায় সবথেকে বড় দায়িত্ব পেয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
নিশীথবাবুকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। উনি এখন থেকে অমিত শাহের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব ছাড়াও ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বানানো হয়েছে নিশীথ প্রামাণিককে।
নির্বাচনে হারের পরেও যে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়নি সেটা চারজন সাংসদকে মন্ত্রী বানিয়ে প্রমাণ করেছে বিজেপি। তবে, চারজনের মধ্যে একজনকেও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী করা হয়নি। আর এই নিয়ে শাসক দল তৃণমূল বিজেপিকে কটাক্ষও করেছে। তবে সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। তাঁরা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের চার সাংসদকে মন্ত্রী বানিয়ে বাংলায় বেশি করে গুরুত্ব দিতে চাইছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিশীথ প্রামাণিককে অমিত শাহের ডেপুটি বানিয়ে বাংলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নজরদারি বেশি চালাতে চাইছে।
অন্যদিকে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে বন্দর ও জাহাজের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাকে সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের দুজন সাংসদকে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে মোদী সরকার। আর দক্ষিণবঙ্গ থেকে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাঞ্জস্য বজায় রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মত বিশিষ্ট মহলের।
একুশের বিধানসভা ভোটে হেরে এখন ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রেখেছে বিজেপি। গতবারের লোকসভায় ১৮টি আসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাঁরই ফলস্বরূপ বাংলা থেকে এবার একাধিক সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বানানো হয়েছে।