প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো কৌশল। তাতে ভর করেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক ময়দানে বাজিমাত করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। তড়িঘড়ি সমবায় মন্ত্রক তৈরি করে শাহকে শীর্ষে বসানোর সিদ্ধান্ত সেই কৌশলই দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, দেশজুড়ে সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলির পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে ফোড়েদের দাপটে রাশ টানতে চাইছে কেন্দ্র।
এমনিতে আপাতত কৃষি বিক্ষোভ নিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই কেন্দ্র। নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ চলছে, আগামী বছর তিন রাজ্যের (উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ড) বিধানসভা ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষত পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক-বিরোধী হাওয়া কাজে লাগাতে চাইছে বিরোধী দলগুলি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই পরিস্থিতিতে গ্রামীণ এলাকায় ফড়েদের উপড়ে দিতে পারলে প্রান্তিক কৃষকরা লাভবান হবেন। তাতে বিজেপির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। যার প্রভাব পড়বে ভোটব্যাঙ্কে।
গত ৬ জুলাই ক্যাবিনেট সচিবালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘দেশে সমবায় ব্যবস্থা জোরদার করতে পৃথক প্রশাসনিক, আইনি এবং নীতি সংক্রান্ত কাঠামো তৈরি করবে এই মন্ত্রক। যা সত্যিকারের মানুষ-ভিত্তিক ব্যবস্থা হিসেবে তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে সমবায় ব্যবস্থা জোরদার করতে সাহায্য করবে।’
আগেও সফল সমবায় ব্যবস্থার সাক্ষী থেকেছে ভারত। আমূলও সেভাবেই তৈরি হয়েছিল। সংস্থার ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অন্যায়ভাবে কাজ করছিলেন। তার জেরে জেলার কৃষকরা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি নিজেদের সমবায় গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে ফোড়েদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই মডেল অনুসরণ হবে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল গুজরাত কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেড। আমূলের দুগ্ধজাত সামগ্রী বাজারে বেচে যে সংস্থার মুনাফা ৩৯,২০০ কোটি টাকা ছুঁয়ে ফেলেছে।