নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে বিজেপি সাংসদ জন বারলা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি সংখ্যালঘু মন্ত্রকের মন্ত্রী হয়ে এবার রাজ্যে চষে বেড়াবেন। তবে তিনি মন্ত্রী হওয়ায় বাংলার মানুষের কোনও উন্নতি হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কারণ তিনি মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম যে প্রতিক্রিয়া সংবাদসংস্থা–কে দিয়েছেন তা থেকেই এই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। আর তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, রাজনীতিই এখানে বেশি জায়গা করে নেবে উন্নয়নের পরিবর্তে।
ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী জন বারলা? তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। বিশেষ করে আমার কেন্দ্রের চা–বাগান শ্রমিক এবং সংখ্যালঘু মানুষজনের জন্য। মানুষ এখন একটু ভীত কারণ বর্তমান সরকার এখানে রয়েছে বলে।’ অর্থাৎ তিনি শুধুমাত্র নিজের লোকসভা কেন্দ্রে চা–বাগান এবং সংখ্যালঘু মানুষের জন্য কাজ করবেন। যা ভোটব্যাঙ্ক তৈরির কৌশল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাতে এই কেন্দ্রের ভোট বিজেপিতে গিয়ে পড়ে তার জন্যই কাজ করা হবে। শুধু তাই নয়, এখানকার সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য তিনি কাজ করবেন বলেছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে সেই ভোটব্যাঙ্ক ধরার কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
জন বারলা সংখ্যালঘু মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্থাৎ তাঁর, রাজ্যের সব সংখ্যালঘু মানুষের জন্যই কাজ করা উচিত। সেখানে শুধুমাত্র নিজের লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যালঘু মানুষের জন্য কাজ করার অর্থই হল বিশেষ জাতের ভোটব্যাঙ্ককে করায়ত্ত করা। তিনি টুইটে আরও লিখেছেন, ‘আমরা শান্তি চাই। আর তা আসবে উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে। কয়েকদিনের মধ্যেই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আর এখানে শান্তির বাতাবরণ ফিরিয়ে আনা হবে।’ অর্থাৎ এখন এখানে অশান্তি আছে বোঝাতে চেয়েছেন। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কতদূর গড়ায়।