বাংলায় একটি প্রবচন আছে, “গাছেরও খাবে তলারও কুড়োবে”… পেট্রল ডিজেল থেকে রাজ্যের আমদানি যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
রাজ্য জ্বালানি তেলের থেকে সরাসরি ২৫ শতাংশ কর আদায় করছে। আবার ওই তেলে কেন্দ্রের ৩৩ শতাংশ করের ৪২ শতাংশ রাজ্য ভাগে পাচ্ছে। তাহলে আখেরে কী দাঁড়ালো?
রাজ্যের নিজস্ব চাপানো কর = ২৫ শতাংশ
কেন্দ্রের কর থেকে প্রাপ্তি = ৩৩×৪২÷১০০ = ১৩•৮৬ শতাংশ
জ্বালানি তেল থেকে রাজ্যের মোট প্রাপ্তি = ২৫+১৩•৮৬ = ৩৮•৮৬ শতাংশ
ওই জ্বালানি তেল থেকে তাহলে কেন্দ্র কর বাবদ কত পেল? সোজা হিসাব (৩৩-১৩•৮৬) = ১৯•১৪ শতাংশ
অতএব জ্বালানি তেল থেকে কর বাবদ
রাজ্যের প্রাপ্তি = ৩৮•৮৬ শতাংশ
কেন্দ্রের প্রাপ্তি = ১৯•১৪ শতাংশ
এবার আপনারাই বলুন যে রাজ্যে মদ আর জিএসটি ছাড়া আয়ের আর অন্য কোনও বিকল্প নেই। সেই রাজ্য কেন লোকাল ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র দেবে। করোনার টাটকা অজুহাত যখন হাতের মুঠোয়। করে দাও লোকাল ট্রেন বন্ধ। কাজ হারিয়ে ভিখারি হয়ে যাক নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে গরিব। মধ্যবিত্তর মাথা মুড়িয়ে জ্বালানি তেল থেকে ৩৮•৮৬ শতাংশ কর বাবদ ছিনিয়ে নাও। এমন চমচম ছেড়ে কোন সেয়ানা লোকাল ট্রেন চলাচল চালু রাখবে। ভোট দিয়ে যখন সরকারে বসিয়েই দিয়েছেন। তাদের চমচমটাও খেতে দিন। আর না খেয়ে ভিক্ষার পাত্র হাতে নেত্রীর দান খয়রাতির দিকে চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকুক আমজনতা।