রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি। এবার এই বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা অধিবেশনও। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বিক্ষোভ দেখিয়ে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, “এমন দলদাস স্পিকার আগে দেখিনি। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক”।
বিধানসভা অধিবেশন বয়কট করার পর স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিক সম্মেলনে, তিনি বলেন, “একজন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। তার দল জিতেছে। যিনি তাকে হারিয়েছেন তিনি বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। এই কথা বিধানসভায় বলা যাবে না। মমতার চোখের ইশারাতে রে রে করে উঠেছেন তৃণমূল বিধায়করা।”
শুভেন্দু আরও বলেন, এরপরই আইনমন্ত্রী কানে কানে গিয়ে স্পিকারকে কিছু কথা বলেন। তারপরই স্পিকার বলেন বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই নিয়ে তিনি কোনো কথা শুনবেন না। তারপরই শুভেন্দু বলেন, এই মামলার কোনো অন্তর্বর্তীকালীন রায় নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি তার সেখানে থাকা উচিত নয়?
বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, বিধানসভায় তৃণমূলের হইচইয়ের আক্রমণকে প্রতিহত করার ক্ষমতা বিজেপি বিধায়কদের আছে। এরপর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন তাকে, তাহলে কেন ওয়াকআউট করলেন বিজেপি বিধায়করা? শুভেন্দু তার স্পষ্ট উত্তর দিয়ে বলেছেন, “স্পিকার বিরোধীদের সংরক্ষণ দেবেন না। আইন মেনে চলবেন না। শাসক দলের প্রতি অর্থাৎ যে দলের প্রতীকে তিনি জিতে এসেছেন সেই দলের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে তার কাজে । সেই কারণেই আমরা বিধান সভা বয়কট করলাম। সাধারণ মানুষকে আমরা জানাতে চাই বিধানসভাতেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে।”
অধিবেশনের প্রথম দিনেও নজিরবিহীন বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে বিধানসভা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধীদলের বিধায়করা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। বাজেট অধিবেশনের ভাষণেও কার্যত কয়েক মিনিটে শেষ করে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।